গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, আমরা হাতিগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু এখন প্রতিদিনই কোনও না কোনও গ্রামে মেলা, উৎসব হচ্ছে। ফলে ঝুঁকি নেওয়া যাচ্ছে না। লোকজন দেখে হাতির দল যদি বিক্ষিপ্ত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে তাহলে হিতে বিপরীত হবে। সামলানো দায় হয়ে উঠবে। লোকজন দেখে হাতির দল যেতেও চাইছে না। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে একবার অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু কুঁয়াবুড়ির কাছে মেলা চলছিল। বাসিন্দারা এমনভাবে আগুন ধরিয়ে পটকা ফাটাতে শুরু করলেন আর এগনো যায়নি। হাতিগুলিকে চাঁদড়া, পিড়াকাটা হয়ে লালগড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লালগড় নিয়ে যেতে পারলে সেখান থেকে ওদের মালাবতি, বাঁশপাহাড়ি, বেলপাহাড়ি হয়ে দলমায় ফিরিয়ে দেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, দলমা থেকে খাবারের খোঁজে আসা বুনো হাতির একটি দল গত ২৬ডিসেম্বর থেকে জামশোল, পাঁচরাশোল, বাগডুবি এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। দলটিতে ৪০থেকে ৪৫টি হাতি আছে। বনদপ্তর দু’এক বার অভিযান চালালেও তা সফল হয়নি। গ্রামে গ্রামে মেলা থাকায় হাতিদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়নি। দলমার দামালরা এই এলাকাতেই থেকে গিয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় আলু ও আখের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বাসিন্দারা বলেন, হাতির দল নানাভাগে ভাগ হয়ে বেরিয়ে পড়ছে। ফসলের ক্ষতি করছে। এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। কখন জঙ্গল ছেড়ে খাবারের খোঁজে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তার চিন্তায় রাতের ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের।
রমেন দাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, মাঝেমধ্যেই হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। ফলে একপ্রকার রাত জেগেই দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদের। আর এক বাসিন্দা রাইমণি হাঁসদা বলেন, সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। যেকোনও সময় হাতি বেরিয়ে পড়তে পারে। আশঙ্কা আর আতঙ্কে আমাদের দিন কাটছে। বাসিন্দারা বলেন, অনেক দিন হয়ে গেল এই এলাকা থেকে হাতির দল যাচ্ছেই না। বনদপ্তরও সেভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে না।