গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রসূতির বাড়ি মুরারই থানার কনকপুর গ্রামে। শুক্রবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁকে মুরারই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। রাতেই সাহিদাকে সেখান থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রামপুরহাট ঢোকার আগেই রাস্তায় মাতৃযানে তিনি সন্তান প্রসব করেন। পরিবারের লোকজন ওই অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসেন। অভিযোগ, প্রায় আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর তাঁকে ভর্তি করা হয়।
প্রসূতির মা অজেফা বিবি বলেন, মেয়ে ও সদ্যোজাতকে পরিষ্কার করার জন্য লেবার রুমের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় কষ্ট অনুভব করায় মেয়ে চিৎকার করছিল। আমি কাচের রুমের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা ওর চিৎকারের আওয়াজ বেড়ে যাওয়ায় কাচে চোখ রেখে দেখি, নার্সরা সেবার পরিবর্তে মেয়েকে মারধর করছেন ও অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন। চিৎকার শুনে চিকিৎসক বিরক্ত হয়ে মেয়ের চুলের মুঠি ধরে চড়থাপ্পড় মারেন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর মেয়েকে বেডে দেওয়া হয়। তখন মেয়ে জানায়, চিৎকার করায় তাঁকে মারধর করেছেন ওই চিকিৎসক। এদিন বিকেলে পরিবারের পক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের প্রতিক্রিয়া নিতে বহুবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল সুইচ অফ ছিল। তবে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিক বলেন, প্রসূতির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসূতির ভাই সাদ্দাম হোসেন বলেন, সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া মায়ের প্রতি এই ধরনের অমানবিক আচরণ আইন বিরোধী। যাঁদের রোগী সেবা করার কাজ তাঁরাই যদি এই ধরনের আচরণ করেন তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? আমরা ওই চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রসঙ্গত, এই হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে ভূরিভূরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৃতের পরিবার চিকিৎসকের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এবার এক প্রসূতিকে মারধরের অভিযোগ ওঠায় এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও ডাকযোগে অভিযোগ জানাবেন।