বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃদ্ধার আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রেজিস্ট্রি ও বিএলএলআরও দপ্তরে আকছার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। একটি চক্র এতে সক্রিয় রয়েছে। তাতে কিছু সরকারি আধিকারিকও জড়িত আছেন। এনিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তা না হলে এই ঘটনা বন্ধ হবে না। জমির মালিকদের এর জন্য অযথা হয়রান হতে হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড় থানার জোতরাম মৌজায় পারুলবালাদেবীর ১৭০শতক জমি রয়েছে। ১৯৬৫সালে তিনি জমিটি কেনেন। ১৯৭৫ সালে সেটেলমেন্টের মাঠ খসড়ায় জমিটি তাঁর নামে রেকর্ড হয়। গত বছরের মে মাসে চিকিত্সার জন্য তিনি কিছু জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সেজন্য জমির সার্চিং বের করেন। তাতে দেখা যায়, তাঁর সম্পত্তির মধ্যে বেশ কিছুটা অংশ জোতরামের ৫জনের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। বৃদ্ধার ছেলে শিবশঙ্কর মণ্ডল বিএলএলআরও অফিসে এবিষয়ে জানতে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন। তাতে জানা যায়, ২০০১ ও ২০১১ সালে বর্ধমান সদর অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রি অফিসে দু’টি দলিলের মাধ্যমে তিনি জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই দলিলের ভিত্তিতে মিউটেশন কেসের মাধ্যমে জমির মালিকানা অভিযুক্তদের নামে রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তিনি কাউকে জমি বিক্রি করেননি। দলিলের সার্টিফায়েড কপি বের করার পর বিক্রেতা হিসেবে তাঁর নাম পাওয়া যায়নি।
তাঁর আরও অভিযোগ, বিএলএলআরও অফিসে মিউটেশন কেসে শুনানির সময় তাঁর উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু, তাঁকে দপ্তর থেকে কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি। কাউকে সাজিয়ে তাঁর জাল ভোটার পরিচয়পত্র ও অন্যান্য নথি দিয়ে জাল দলিল করা হয়েছে। বিষযটি তিনি জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসককে জানান। শক্তিগড় থানাকেও ঘটনার কথা জানান তিনি। এসপিকে জানানোর পরও ফল না হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
শক্তিগড় থানার এক অফিসার বলেন, ঘটনার কথা জানা নেই। আদালতের নির্দেশও থানায় পৌঁছয়নি। আদালত নির্দেশ দিলে অবশ্যই আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।