পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই জমিতে একাধিক যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার পর ট্রাক্টর বোঝাই হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলিতে। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলছে মাটি কাটা। মাঝে দু’-এক ঘণ্টার বিরতি থাকলেও দিনভর ট্রাক্টর চলাচলে অতিষ্ঠ বেতাই পোস্ট অফিস পাড়ার মানুষজন। লোকালয়ের মধ্যে সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে মাটি বোঝাই করে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে ট্রাক্টরগুলি। যার জেরে বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হওয়ার ভয়ে শিশুদের বাইরে খেলতে পাঠানোর সাহস পাচ্ছেন না অভিভাবকরা।
তেহট্ট-১-এর বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক বলেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোন কোন জায়গায় বেআইনিভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হয়। কদিন আগেও বেতাই থেকে দু’টি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছিল। মাটি কাটার ব্যাপারে পুলিসের নজর রয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, এসব মাটি মাফিয়াদের হাত অনেক লম্বা। রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ওদের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে মানুষ ভয় পায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। মাঝে একবার গ্রামে পুলিস এসেছিল। তখন ট্রাক্টরগুলি লুকিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু, দু’দিন পর ফের একইভাবে মাটি কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পলাশীপাড়ার গোপীনাথপুরে কিছুদিন আগে মাটি কাটার গর্তে খেলার সময় ধসে দুই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর পুলিস প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস, প্রশাসন ও ভূমি দপ্তরের অধিকারিকরা। মৃতাদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ওই জমির মালিককে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি দু’টি ট্রাক্টর আটক করেছিল। তারপরও তেহট্টের বেতাই, পলাশীপাড়ার সাটিখালি খাল, হালদারপাড়ায় বেআইনিভাবে মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাফিয়ারা রাজ্য সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতেই বেআইনিভাবে মাটি কেটে পাচার করে। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, প্রশাসনের লোকজনের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া মাটি মাফিয়াদের পক্ষে এমন বেপরোয়াভাবে কারবার চালানো সম্ভব নয়। গ্রামের রাস্তা দিয়ে মাটি বোঝাই করে দ্রুত গতিতে ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ায় সময় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কয়েকদিনের জন্য ধরপাকড়, নজরদারি চলে। আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। পলাশীপাড়ার বাসিন্দা সলিল কর বলেন, বেআইনি মাটি কাটা যদি বন্ধ না হয়, তবে আমরা গণ আন্দোলনে নামব। অবিলম্বে প্রশাসন এই বেআইনি কারবার বন্ধ করার ব্যবস্থা করুক।