বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাসখানেক আগে নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মণ্ডলকে তৃণমূলে শামিল করেন শুভেন্দুবাবু। গত ১০জানুয়ারি সাগরদিঘিতে ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভায় তিনি ১০দিনের মধ্যে সিপিএমের বড় উইকেট ফেলার কথা ঘোষণা করেন। এই অবস্থায় এদিন জলঙ্গিতে ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভায় তিনি স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের হাতে তৃণমূলের ঝান্ডা তুলে দেন। এখন থেকে রাজ্জাকসাহেব তৃণমূলের জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলাবেন। এনিয়ে জেলায় ২২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২।
রাজ্জাকসাহেবের হাতে দলীয় ঝান্ডা তুলে দেওয়ার পর শুভেন্দু বলেন, সগরদিঘির সভায় বলেছিলাম ১০দিনের মধ্যে সিপিএমের বড় নেতাকে দলে নেব। ১০দিনের আগেই তা করে দেখালাম। তবে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই বিধানসভা কেন্দ্র দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। পালাবদলের পর না চাইতেই মুখ্যমন্ত্রী এখানকার জন্য অনেক কিছু করেছেন বলে রাজ্জাকসাহেব জানান। একই সঙ্গে তিনি এই কেন্দ্রকে আদর্শ বিধানসভা কেন্দ্র হিসেবে সাজিয়ে তোলার আবেদন করেছেন। তাঁর এই আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এই বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামালাবেন রাজ্জাকসাহেব। উল্লেখ্য, আগে জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় চেয়ারম্যান পদে ছিলেন গত বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী অলোক দাস। তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্জাকসাহেব একদা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সদস্য ছিলেন। ২০১১সালে জলঙ্গি থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৬সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই এলাকা সাজিয়ে তুলতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম। হয়তো এখন অনেকে আমাকে গালি দেবেন। আগামী দিনে সেই গালি আমার কাছে আশীর্বাদ হয়ে আসবে।
এপ্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্বাসঘাতকতা, দল বিরোধী ও নীতিহীন কাজ করার জন্য কয়েকদিন আগে জলঙ্গির বিধায়ককে সর্তক করা হয়েছিল। তাঁকে দলীয় নিয়ম অনুসারে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। অবস্থান পরিবর্তন না করায় বুধবার রাতে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখন আমাদের সেই আবর্জনাকে নিয়ে মাতামাতি করছে তৃণমূল।
এদিন জলঙ্গি কলেজ ময়দানে আয়োজিত ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভায় শুভেন্দুবাবু ছাড়াও তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক হাজির ছিলেন।