কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংস্থার ডিরেক্টর হরিশ হিরানি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের এই টেকনোলজি ব্যবহার করে সফল হয়েছি। আমাদের বিজ্ঞানীরা দুর্গাপুরেই এই টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে একটি কুয়ো থেকে জল তুলে এখানে পরিস্রুত করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানী প্রিয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জল জমা হয়ে থাকে। গ্রামে পুকুর কিংবা কুয়োর জলও অনেক সময় পানের উপযোগী থাকে না। তারফলে বিপুল পরিমাণ জল নষ্ট হয়। এমনকী অনেকে ওই জল চাষের কাজেও ব্যবহার করতে চায় না। কিন্তু আমাদের এই টেকনোলজি ব্যবহার করলে খুব সহজেই ওই দূষিত জল পানের উপযোগী হবে। আমাদের তৈরি যন্ত্রটি দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার লিটার দূষিত জল পানের উপযোগী করা যাবে। এই যন্ত্রটির দাম দেড় লক্ষ টাকা। এই মেশিনের মাধ্যমে পরিস্রুত করার পর জল পান করলে শরীরে কোনও ক্ষতি হবে না। সম্পূর্ণ ব্যাকটিরিয়া মুক্ত জল পাওয়া যাবে।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই টেকনোলজি ব্যবহার করে প্রথমে কুয়ো বা অন্য কোথাও থেকে জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি তিনটি ভেসেলে আনা হবে। সেখান থেকে জল ফিল্টার করে ট্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হবে। শোলার পাওয়ারের মাধ্যমেই সব কিছু হবে। ভেসেলগুলিতে বিশেষ ধরনের পাথর, মাটি এবং বাঁশের উপকরণ রয়েছে। এছাড়া এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হবে। তবে এই কেমিক্যাল শরীরে কোনওভাবেই ক্ষতি করবে না।
সংস্থা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই টেকনোলজি নিয়ে কয়েকটি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। কর্তৃপক্ষর প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী এই মেশিনটির দাম দেড় লক্ষ টাকা হলেও কোনও বেসরকারি সংস্থা তা বাজারে আনলে দাম বাড়তে পারে। তবে কোন সংস্থাকে এই টেকনোলজি হস্তান্তরিত করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিশেষ এই পদ্ধতিতে জল শোধন করে চাষের কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের দাবি, দূষিত জলের ফলে অনেক সময় গাছের ক্ষতি হয়। ফলনও কমে যায়। কিন্তু জল শোধন করলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তাছাড়া আগামীদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সেকারণেই এই টেকনোলজি আবিষ্কারের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।