কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক নিরঞ্জন গুপ্তা ও শিক্ষা সহায়ক সুমন কর্মকার বলেন, পিছিয়ে পড়া এলাকার ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র পাঁচ টাকা এন্ট্রি ফি দিলেই সমস্ত কিছু দেখানোর পাশাপাশি দুপুরের লাঞ্চও দেওয়া হবে। যেহেতু খাবারের আয়োজন করতে হবে, তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে। আগামীদিনে পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলার ছাত্রছাত্রীদের এই সুযোগ দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়ামের অধীনে সারা দেশে মোট ২৭টি বিজ্ঞান কেন্দ্র বা সায়েন্স সেন্টার রয়েছে। তার মধ্যে দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র একটি। কলকাতা সায়েন্স সিটির মতো দীঘা সায়েন্স সেন্টার এত আধুনিক না হলেও ধাপে ধাপে দীঘা সায়েন্স সেন্টারকে সাজিয়ে তোলার কাজ হয়েছে। বিড়লা তারামণ্ডলের আদলে এই বিজ্ঞান কেন্দ্রে ডিজিটাল তারামণ্ডল তৈরি করা হয়েছে। এই স্পেস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারে একসঙ্গে ৫০জন বসে শো দেখতে পারে। এছাড়া থ্রি ডি সিনেমা হল রয়েছে। যেখানে একসঙ্গে ৬০জনের বেশি বসে থ্রিডি সিনেমা দেখার মজা নিতে পারে। শুধু তাই নয়, মজাদার বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ম্যাজিক ও মিরাকেল নামের দু’টি শো দর্শনার্থীদের দেখানো হয়। এই দু’টি শো বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিকরা পরিচালনা করেন। এই শো একসঙ্গে ১৩০জন বসে দেখতে পারেন। এছাড়া বিজ্ঞান কেন্দ্রজুড়ে ১০০টির বেশি বিজ্ঞান মডেল রয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পিছিয়ে পড়া এলাকার ছাত্রছাত্রী যারা বিজ্ঞান কেন্দ্রে আসার সুযোগ পায় না, তাদের জন্য বিজ্ঞান কেন্দ্রে আসার সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেই কারণে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বিজ্ঞান কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মাত্র পাঁচ টাকা এন্ট্রি ফি নিয়ে বিজ্ঞান কেন্দ্রের সমস্ত কিছু ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি সমস্ত শো দেখানো হবে। এছাড়া দুপুরে বিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফে সমস্ত ছাত্রীকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে জেলার মোট ৬০০০ ছাত্রছাত্রীকে এই সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিজ্ঞান কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে হবে। এরপর বিজ্ঞান কেন্দ্রের দেওয়া নির্দিষ্ট দিনে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সকাল সকাল পৌঁছে যেতে হবে।
এই চিঠি পাওয়ার পর সর্বশিক্ষা মিশন জেলার সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে। এছাড়া জেলার মোট ৪৫টি সার্কেলের মোট ৯০টি স্কুলকে চিহ্নিত করার জন্য এসআইদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই স্কুলগুলিকে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে যাওয়ার খরচ ও বিজ্ঞান কেন্দ্রে ঢোকার এন্ট্রি ফি সর্বশিক্ষা মিশন থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।