কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বন্ধুদের সঙ্গে প্রণব বাবলা এলাকায় পিকনিক করতে যান। পিকনিক সেরে বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে গোবিন্দপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ওই যুবককে। কল্যাণী নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার বিকেলে প্রণবের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর কলেজের গণিত বিভাগের স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন প্রণব। পড়াশোনার পাশাপাশি গান বাজনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। শান্তিপুরের মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুতে পরিবারসহ বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রণবের এক বন্ধু বলেন, ওই দিন বিকেলে বাড়ি ফেরার জন্য অন্য এক বন্ধুকে নিয়ে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিল প্রণব। সেই সময় শান্তিপুরের বাইপাস মোড়ে গাড়ি থামিয়ে পুলিস মোটরবাইকগুলিতে তল্লাশি করছিল। পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রণবের বাইকটি আটকাতে যায়, তখনই পুলিস দেখে প্রণব বাইকের গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। সে সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা মারে মোটর বাইকটি।
মৃত যুবকের প্রতিবেশী নিত্যানন্দ সাধুখাঁ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দপুরের কাছে ওই বাইপাসে কয়েকজন পুলিস প্রণবকে থামানোর জন্য পিছন থেকে ধাওয়া করে। তাই দেখে প্রণব বাইকের গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও পুলিস জানিয়েছে, সেই সময় বাইক চেকিং চলছিল ঠিকই কিন্তু কাউকে ধাওয়া করা হয়নি। দুর্ঘটনার সময় মাথায় হেলমেট ছিল না ওই কলেজ পড়ুয়ার।
প্রসঙ্গত গত শনিবার সন্ধ্যায় ধানতলা থানার কানিবাউনি এলাকাতেও বেপরোয়া বাইক গাছে ধাক্কা মারলে মৃত্যু হয় দুই বাইক আরোহী। তাদের মাথাতেও হেলমেট ছিল না। বারংবার বাইক দুর্ঘটনা এড়াতে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও আটকানো যাচ্ছে না হেলমেটহীন বাইক আরোহী সংখ্যা। বিশ্ব মণ্ডল নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই এলাকায় প্রচার চালানো হয়, যাতে বাইক আরোহীরা হেলমেট মাথায় দিয়ে বাইক চালান। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু বাইক আরোহী দেখা যায় যাদের মাথায় হেলমেট থাকে না। এই কলেজ পড়ুয়াও মাথায় যদি হেলমেট পরতো তাহলে পুলিসকে দেখে পালানোর কোনও কথাই থাকত না। এই দুর্ঘটনাও ঘটত না।