বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঘটনার পরেই পুলিসের উচ্চ পদস্থ কর্তারা এসে এর তদন্ত শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, শহরে আগে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল সবগুলিরই কিনারা করা হয়েছে। এটিরও দ্রুত কিনারা হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, একটি ডাকাতির ঘটনার ঘটেছে। দু’জন দুষ্কৃতী জড়িত থাকার কথা উঠে আসছে। ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসাররা এলাকায় গিয়ে তদন্ত করছেন।
পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি পেশায় বাইক মেকানিক সুনীল চৌধুরীর ছেলে সোমনাথের বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলের বিয়ের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছেল। সেই সুনীলবাবুর বাড়িতেই হানা দেয় ডাকাত দল। বাড়িতে সুনীলবাবু ও তাঁর স্ত্রী সীমা চৌধুরী থাকতেন। ছেলে কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। বুধবার ভোর ৩টে নাগাদ বাড়ির উঠোনে থাকা শৌচালয়ে শৌচকর্ম করতে যান গৃহকর্ত্রী। বাড়িটির কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। অভিযোগ, শৌচকর্ম করে ঘরে ঢুকতে যাওয়ার সময়েই কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দুই দুষ্কৃতী তাঁকে ধরে ফেলে। একজন দুষ্কৃতী তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। প্রথমে তিনি স্বামীর শোওয়ার ঘরের দিকে যেতে চাইলেও ডাকাত দল জানায়, যেখানে আলমারি আছে সেখানে চলুন। এরপরে আলমারি খুলতে বলে। আলমারি খুলে দেওয়ার পর সেখান থেকে টাকা ও গয়না নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে সীমাদেবীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে সুনীলবাবুর। এরপরে পাড়া প্রতিবেশীরাও বিষয়টি জানতে পারেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সিউড়ি দুবরাজপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে থাকা বাড়িতে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও সকালে পুলিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন।
সীমাদেবী বলেন, বাথরুম থেকে ঘরে ঢোকার পথেই দুষ্কৃতীরা আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। আমাকে আলমারির চাবি খুলতে বলে। আমি জানিয়েছিলাম, চাবি স্বামীর কাছে আছে। তখন ডাকাতরা বলে, মেয়েদের কাছেই আলমারির চাবি থাকে। আপনার কাছে যে চাবি আছে তা দিয়ে খুলুন। এরপর বাধ্য হয়েই আমি আলমারি খুলে দিই।
গৃহকর্তা সুনীল চৌধুরী বলেন, টাকা গয়না মিলিয়ে মোট এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো ডাকাতি হয়েছে। ছেলের বিয়ের আগে খুবই সমস্যায় পড়ে গেলাম। পুলিস এসে তদন্ত করেছে।
যদিও ডাকাতির ঘটনা জেলা সদর সিউড়িতে নতুন নয়। গত বছরও ১৯ জানুয়ারি ভোরে ডাকাত দল হানা দিয়েছিল সিউড়ি সাজানোপল্লিতে। সেখানে ডাকাতি করার পাশাপাশি গৃহকর্ত্রীর দুই আত্মীয়কে জখমও করেছিল। এরপরেও শহরজুড়ে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। কয়েকবছর আগেও শীতকালে সিউড়িতে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এবারও সেই একই মরশুমে ডাকাতি শুরু হওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে।