পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে চেক ড্যামগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশমতো আমাদের দপ্তরের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সবদিক খতিয়ে দেখে চেক ড্যাম প্রস্তুতির কাজে অগ্রসর হবে দপ্তর।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, দারুণ উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী তারাপীঠকে সাজিয়ে তুলছেন। তারা মা তাঁর মঙ্গল করবেন। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, অনুব্রতবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে অনুমোদন করিয়েছেন। প্রকল্পটি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা।
দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তীর্থক্ষেত্র বারাণসীতে বাবা বিশ্বনাথ ও মা অন্নপূর্ণার মন্দিরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গঙ্গা নদী। ওখানকার দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় জমান। কিন্তু, সবার পক্ষে বারাণসীতে গিয়ে সেই আরতি দেখা সম্ভব হয় না। তাই রাজ্যবাসীর জন্য তারাপীঠে দ্বারকা নদে আরতি করার পরিকল্পনা নেয় তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন সংস্থা। ফলে, আর্থিক বা শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ার জন্য যাঁরা বারাণসী যেতে পারেন না, তাঁরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। পাশাপাশি তারাপীঠের আর্কষণ আরও বাড়বে। কিন্তু, উদ্যোক্তাদের মাথা ব্যথার কারণ ছিল দ্বারকা নদের জল। কারণ, নদে জল না থাকলে সেখানে আরতি অসম্ভব। তাই উদ্যোগ প্রথমেই থেমে যায়। তাঁরা উপলব্ধি করেন তারাপীঠের কাছে দ্বারকা নদকে দু’দিক দিয়ে চেক ড্যাম করে বাঁধতে পারলে সারাবছর জল রাখা সম্ভব। কিন্তু, বহু কোটি টাকার এই প্রকল্প কী করে সম্ভব, তা নিয়ে ভাবনা শুরু হয়।
এরই মধ্যে ২ জানুয়ারি প্রশাসনিক সভা করতে বোলপুরে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় সরকারের আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলে দেন, নতুন করে জেলার জন্য কিছু দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, ছাড়ার পাত্র নন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করতে থাকেন এই দু’টি চেক ড্যামের জন্য। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখে নিতে বলেন। মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা।
এই চেক ড্যাম নির্মাণ সম্পন্ন হলে দ্বারকা নদের চেহারা পাল্টে যাবে। কারণ, ইতিমধ্যেই তারাপীঠ লাগোয়া দ্বারকা নদের তীরে বিশ্ববাংলা, মুণ্ডমালিনী ও বামদেব ঘাট গড়ে উঠছে। সেখানে এলাকায় সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। এবার জল ধরে রাখলে ভবিষ্যতে নৌকাবিহার সম্ভব। এমনকী, এই আধুনিক ঘাটগুলি থেকে আরতি দেখতে ভক্ত ও পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলে উদ্যোক্তাদের আশা।
তারা মায়ের ভক্ত দেবশ্রী চৌধুরী, অপরূপা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা প্রতি বছরই নিয়ম করে তারাপীঠে আসি। এখানে যদি আরতির ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে। আমরা তারা মায়ের দর্শনের পাশাপাশি আরতি দেখতে পাব। খুবই ভালো উদ্যোগ।