পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পঞ্চপাণ্ডব মন্দিরের সেবাইত কমলাকান্ত স্মরণদেব মহান্ত বলেন, পঞ্চপাণ্ডবের নাম অনুসারেই এই এলাকার নাম হয়েছে পাণ্ডবেশ্বর। তাঁরা এখানে অজ্ঞাতবাসে ছিলেন। সেই সময় এখানে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পৌষ সংক্রান্তির দিন এখানে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। বহু পুণ্যার্থী তা দেখতে আসেন। এলাকার বাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, আগে এখানে শুধু পৌষ সংক্রান্তির দিন মেলা হতো। এখন পাঁচ দিন ধরে মেলা চলে। সবদিনই এলাকা জমজমাট থাকে। ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হয়। এলাকার আরএক বাসিন্দা অতীশ দত্ত বলেন, এখন অজয় বেশ কিছুটা দূরে সরে গিয়েছে। জল কম থাকলেও পুণ্য লাভের আশায় পৌষ সংক্রান্তির দিন এখানে অনেকেই আসেন। সারারাত ভিড় থাকে।
শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন সাধু ইতিমধ্যে চলে এসেছেন। বাইরের লোকজনও ঘুরতে আসছেন। মেলার স্টল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বীরভূমের জয়দেবের মেলা কলেবরে এগিয়ে থাকলেও এখানকার মেলার আকর্ষণ কম নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দৃঢ় বিশ্বাস, পঞ্চপাণ্ডবরা এখানে এসেছিলেন। মহাভারতের বিভিন্ন চরিত্রের নাম অনুসারে এখানকার বিভিন্ন এলাকার নামকরণ হয়েছে। পাণ্ডবেশ্বর থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে ভীমগড়। কেউ কেউ অবশ্য তাঁদের আগমন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে যাই হোক না কেন, সেসব বিতর্ক দূরে সরিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের পঞ্চপাণ্ডব মন্দির পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে সরগরম হয়ে উঠেছে। বিশেষ ওই দিনে ভিড় সামাল দেওয়াই এখন প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বহু বছর ধরে এখানে মেলা হচ্ছে। সবাই শৃঙ্খলা মেনে এখানে আসেন। এবারও বহু ভক্তের ভিড় হবে বলে আশা করছি।