বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এবিষয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, আগে প্রমাণ হোক ঘটনার জন্য আমরা দোষী। পুলিস প্রশাসন তো আর বিচারক নয়। আদালত যা রায় দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেব। আদালত ক্ষতিপূরণ দিতে বললে আমরা তাই করব।
বন্ধে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস রুখতে ক্রমশ কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন বন্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হলে বন্ধকারীদের কাছ থেকে তা আদায় করা হবে। তা যে আর কথার কথা নয়, তা এদিনের তোড়জোড় থেকেই প্রমাণ হল। বুধবার বাস ভাঙচুরের পরই রামচন্দ্র ডোম সহ ১৩জনের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সিউড়ি থানার পুলিস। দুই এসএফআই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পায়। তবে দুই ছাত্রনেতার জামিন হলেও সহজে নিস্তার পাচ্ছেন না সিপিএম নেতারা। কারণ, এবার বাসের কাচ ভাঙচুরের ঘটনায় ৫হাজার৩০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে সিউড়ি থানায় চিঠি দিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার সিউড়ি ডিপোর আধিকারিক। সিউড়ি থানা বিষয়টি মহকুমা শাসক রাজীব মণ্ডলের নজরে এনেছেন। একজন ম্যজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য তারা মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে। রাজীববাবু বলেন, আমি চিঠি দেখিনি। তবে চিঠি এলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বনধের দ্বিতীয় দিনে সিউড়ি পুরসভার সামনে দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম সহ জেলার নেতারা। সেই সময় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একটি বাসের কাচ ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ ওঠে মিছিলের মধ্যে থেকেই বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। যদিও ওইদিন বিকেলে সিটুর জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী দাবি করেন, তাঁদের দলের কেউ ভাঙচুর করেনি। উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কেউ ওই কাজ করেছে।