বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রীর স্টল ও দোকানপাট রয়েছে। প্রথম দিনেই মেলায় শীতের কামড়কে উপেক্ষা করেই স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই, দীঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। মেলা চলবে আগামীকাল, রবিবার পর্যন্ত। এই মেলাকে ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠেছে পর্যটন শহর দীঘা। এদিন সন্ধ্যায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক বলেন, জেলার অন্যতম এই দু’টি শিল্প বিশ্বের দরবারে বিরাট জায়গা করে নিয়েছে। জিআই স্বীকৃতিও পেয়ে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এই দু’টি শিল্প এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন যতটুকু সহযোগিতার করার, তা নিশ্চয়ই করবে। আগামী দিনে বিপণনের উপর বেশি করে জোর দেওয়া হবে। বিধায়ক বলেন, এই দু’টি শিল্প জেলায় ঐতিহ্যকে দীর্ঘদিন ধরে বহন করে চলেছে। কর্মসংস্থানের একটি বিরাট ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে মাদুর বয়ন ও পটচিত্র শিল্পের মাধ্যমে।
দীঘায় বেড়াতে এসে পরিবারের লোকজনদের নিয়ে এই মেলায় এসেছিলেন উত্তর ২৪পরগণা জেলার বারাসতের বাসিন্দা পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী সুদীপ্ত রায়। তিনি বললেন, পূর্ব মেদিনীপুরের পটচিত্র ও মাদুর শিল্প যে বিখ্যাত, সেকথা অনেক আগে শুনেছিলাম। এখানে এসে শুনলাম, দীঘায় ফোক মেলা হবে এবং মাদুর ও পটচিত্রের মতো সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। আর অপেক্ষা না করেই মেলায় চলে এলাম। এখানে এই সমস্ত গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমরা মেলা থেকে কয়েকটি পটচিত্র এবং মাদুর কিনেওছি।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাদুর ও পটের কাজের জন্য বিখ্যাত। জেলার লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসাবে এই দু’টি শিল্প ভারত সরকারের জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন(জিআই)-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। রামনগর, ভগবানপুর, পটাশপুর, ময়না প্রভৃতি এলাকা মাদুর শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আর চণ্ডীপুর বিখ্যাত পটচিত্রের জন্য। মেলায় ওই সব এলাকার শিল্পকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে নির্মাল্য রায় ও মৌমিতা কুণ্ডু বলেন, এবার মেলার দ্বিতীয় বর্ষে পা দিল। সংশ্লিষ্ট গ্রামের এই শিল্প এবং শিল্পীদের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরতে আমাদের এই প্রয়াস। মেলায় পূর্ব মেদিনীপুর তো বটেই, সুদূর ডেনমার্ক ও মলদ্বীপের লোকশিল্পীরাও যোগ দিয়েছেন। উদ্যোক্তারা বলেন, মেলায় তিনদিনই হবে নানা স্বাদের লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান। প্রথম দিন থাকছে নাটুয়া নৃত্যু এবং ডেনমার্কের শিল্পীদের অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিনে থাকছে ছৌ নাচ ও বাউল গান। আর শেষ দিন, রবিবার রায়বেশে নাচ পরিবেশিত হবে। প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই মেলায় প্রবেশ করা যাবে।