পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তিনি আরও বলেন, পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের দিয়ে কাউন্সিলারদের একাংশ বাজার করাচ্ছেন। কাউন্সিলরদের তাঁবেদারি করেই তাঁদের দিন কেটে যাচ্ছে। ফলে ওইসব ওয়ার্ড অপরিষ্কার থেকে যাচ্ছে। এদিন শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ জঞ্জাল এবং নিকাশি সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলে পুরসভায় ময়লা ফেলে প্রতিবাদ জানায়। ওই ওয়ার্ডের মহিলারা চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে নজিরবিহীনভাবে বিক্ষোভ দেখান। ওই ঘটনার পর কাউন্সিলারদের একাংশের বিরুদ্ধে খোদ পুর চেয়ারম্যান বিস্ফোরক মন্তব্য করায় পুরসভার অন্দরের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলার দুলালনন্দন চাকী বলেন, পুর এলাকা এবং জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে সাফাই কর্মীর সংখ্যা স্থির করার নিয়ম রয়েছে। অথচ ইংলিশবাজার পুরসভা সেসবের তোয়াক্কা করে না। এখানে আনুগত্যই শেষ কথা বলে। ফলে কাউন্সিলারদের অনুগামী সাফাই কর্মীরা টাকা তোলেন। দিনভর তাঁরা কাউন্সিলারদের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাউন্সিলারের দলীয় কার্যালয়ে থাকেন। ভুয়ো লোকজন টাকা তোলার ফলে প্রকৃত সাফাই কর্মীরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন। এর দায় চেয়ারম্যান এড়াতে পারেন না। বিরোধী হওয়ায় আমাদের কথায় কোনও আমল দেওয়া হয় না। আমাদের ওয়ার্ডগুলির প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়। অবশ্য, তৃণমূল কাউন্সিলারদেরই শাসকদল পরিচালিত বর্তমান পুর বোর্ডের উপর কোনও ভরসা নেই। তারপর এই বোর্ড কিভাবে বিরোধীদের আস্থা অর্জন করতে পারে?
৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির কাউন্সিলার সঞ্জয় শর্মা বলেন, তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ড প্রথম দিকে আমাকে আমার ওয়ার্ডে সেভাবে কাজই করতে দেয়নি। পরবর্তীকালে ওয়ার্ডে সাফাই কর্মীর তালিকা দেখে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। একদিনও ঝাঁটা না ধরে কয়েকজন ‘ঝাড়ুদার’ হিসাবে দিনের পর দিন বেতন তুলে গিয়েছেন। ওই রকম পাঁচজনকে আমি কাজ থেকে বরখাস্ত করি। বর্তমান পুর বোর্ডের আমলে ওই পাঁচজনকে বিভিন্ন জায়গায় আবার কাজ দেওয়া হয়েছে। অথচ ওই পাঁচটি খালি পদে বারবার আবেদন নিবেদন করা সত্ত্বেও বর্তমান চেয়ারম্যান নতুন করে আমার ওয়ার্ডে কোনও সাফাই কর্মী বরাদ্দ করেননি।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অশোক সাহা বলেন, সাফাই কর্মীদের টাকা অনেকেই তছরুপ করে। এনিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সব ফাঁস হয়ে যাবে। তবে ওয়ার্ডের সাফাই কর্মী কাউন্সিলারের বাড়ির কাজ করলে তা দেখার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের। তিনি গোটা শহরের কার্যত অভিভাবক। ফলে তিনি এব্যাপারে চোখ বুজে থাকতে পারেন না।
এদিকে চেয়ারম্যান বলেন, আমার ওয়ার্ডের আয়তন আশপাশের ওয়ার্ডগুলোর থেকে অনেক বেশি। জনসংখ্যাও কম নয়। অথচ আমার ওয়ার্ডে সবচেয়ে কম সাফাই কর্মী আছেন। ওয়ার্ডে সাফাই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শাসক-বিরোধী ভেদাভেদ করা হয় না। সাফাই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে যাঁরা নিয়মবহির্ভুত কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকাল ন’টার মধ্যে ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাই করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কাজ দেখার দায়িত্ব স্থানীয় কাউন্সিলারদের। কিন্তু অনেকেই তা দেখেন না। কাউন্সিলারদের একাংশের নজরদারির অভাবে এই শহর অপরিচ্ছন্ন থাকছে।