পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ১০টি খাতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ভাবে খোঁজখবর করেছে। শেষ পর্যন্ত যে পরীক্ষার্থীদের খাতা হারিয়ে গিয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেই একটি সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে। আমরা আগামী শুক্রবারের মধ্যে ওই পরীক্ষার্থীদের হাতে চূড়ান্ত ফলাফল তুলে দিতে পারব বলে মনে করছি।
প্রায় একই কথা বলেছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান বিবেকানন্দ মণ্ডলও। তিনি বলেন, একটি সমস্যা হয়েছিল। পরীক্ষা নিয়ামকের দপ্তর থেকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপও করা হয়েছিল। ওই পড়ুয়ারা নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। বাকি সিদ্ধান্ত পরীক্ষা নিয়ামকের দপ্তর থেকেই নেওয়া হবে। তবে শুনেছি, একটি সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে। পরীক্ষার্থীদের সমস্যা মিটে যাক, শিক্ষক হিসেবে সেটাই চাই।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল মে মাসে। ওই মাসেই পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর খাতাগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে।
কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তিনজন অধ্যাপক নির্ধারিত সময়ে খাতা জমা দিয়ে দিলেও দু’জন অধ্যাপক দু’এক দিন পরে খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ দেখেন ঐচ্ছিক বিষয়ের ১০টি খাতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় পরীক্ষা নিয়ামকের দপ্তরে। তন্নতন্ন করে খুঁজেও ওই ১০টি খাতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে আলোচনা হওয়ার পরে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও তৈরি হওয়ার কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরণের ঘটনা যে এই প্রথম ঘটল তা নয়। কখনও কখনও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরণের অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে থাকে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা ওই বিষয়ে নতুন করে পরীক্ষা দিতে চান, নাকি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যান্য কোনও পেপারে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরটিই হারিয়ে যাওয়া পেপারের ক্ষেত্রেও তাঁরা পেতে ইচ্ছুক। পরীক্ষার্থীদের মতামতকেই এই ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে মান্যতা দেওয়ার রীতি রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এক্ষেত্রেও ২১ নভেম্বর যে ১০ জন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়ে গিয়েছিল বিভাগের মাধ্যমে তাঁদের মতামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তর। কোনও পরীক্ষার্থীই নতুন করে পরীক্ষায় বসতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। সেই অভিমত অনুযায়ীই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, সব পদ্ধতি মেনেই আগামী শুক্রবারের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত ফল প্রকাশের চেষ্টা করছি।
তবে পরীক্ষার খাতা হারিয়ে ফেলা যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় তা মেনে নিয়েছেন পড়ুয়া থেকে শিক্ষাবিদ সকলেই।