পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আজাহার উদ্দিন বলেন, এক বছর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। এলাকার উন্নয়ন ও শান্তির জন্য দুই পক্ষ সাত জন করে ১৪ জন ও প্রধানকে নিয়ে ১৫ জনের কমিটি হয়েছে। ওই কমিটিই বিভিন্ন মিটিং ও উন্নয়নের কাজ দেখাশোনা করবে।
কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফেরাজুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুরের মানুষ যে আবেগ নিয়ে লড়াই করেছিল তার তাৎপর্য বুঝতে পেরে প্রশাসন মানুষের দাবিদাওয়া মেনে নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিতে হয়েছিল। কিন্তু সঠিকভাবে গণনা হয়নি। তা নিয়েই এই লড়াই ছিল। এতে দুই দলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন বারবার অনুরোধ করেছে পঞ্চায়েত খোলার জন্য। প্রশাসনের উদ্যোগে দুই দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিই সম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।
লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আবদুল রজ্জাক বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন পঞ্চায়েত খোলা হল। সকলে মিলে এলাকার উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। চোপড়ার বিডিও জুনেইদ আহমেদ বলেন, এখানে মাঝে মাঝেই আইন শৃঙ্খলায় সমস্যা হচ্ছিল। এদিন থেকে স্থানীয়রা মিলে একসঙ্গে এসে অফিসটাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য কোনও কমিটি হয়েছে এমন বিষয় আমার জানা নেই। যাঁরা নির্বাচিত তাঁরাই পঞ্চায়েত চালাবেন।
কংগ্রেস ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত অফিস খোলার জন্য দুই দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েক বার প্রশাসন বৈঠক করেছে। কিন্তু একমত হতে পারছিল না। বুধবার চোপড়া থানায় দুই দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচিত সদস্য নয়, দুই দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি পঞ্চায়েত চালাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এদিন পঞ্চায়েত খোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল। পঞ্চায়েত অফিস ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিস মোতায়েন ছিল। একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও চোপড়ার বিডিও অফিস ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের তালা খোলা কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠকে প্রশাসনের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী দুই দলের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। ভোট গণনা কেন্দ্রে বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ১৫টি আসনই তৃণমূল দখল করে। গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে জয়ী হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কংগ্রেস এতদিন পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ করে রেখেছিল।