পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিয়ের তারিখ আগেই স্থির হয়েছিল। বিয়ের আয়োজনও চলছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যায়। দল আবার তাঁকেই প্রার্থী করায় চাপ বেড়ে যায় পরিবারের। যদিও কমলবাবু বলেন, মেয়ে তো শুধু আমার নয়, আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ সানন্দে দায়িত্ব মাথা পেতে নিয়েছে। তারাই বলেছে, বেশি চিন্তার কারণ নেই। খাবারের আয়োজনে থাকছে না কোনও ক্যাটারার। পাড়ার ছেলেরাই কোমরে গামছা বেঁধে পরিবেশন করবে। প্যান্ডেল, মাইক, বিয়ের পুরোহিত থেকে শুরু করে সবটাই কমলবাবুর স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সেরে ফেলেছেন পাড়াপ্রতিবেশীরা। মেয়ের বিয়েতে অনেক কাজ তাঁর করা হলো না এই আক্ষেপ থাকছেই প্রার্থীর। তবে কমলবাবুর দাবি, নির্বাচনে জিতে এলাকাবাসীর জন্য কাজ করতে পারলেই এই আক্ষেপ মিটবে।
তিনি বলেন, ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি দল পরে ঠিক করেছে। আগেই মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে দিনটি দু’দিন আগেপরে পড়ে গিয়েছে। কিছু করার নেই। মানুষের কাজ আগে করতে হবে। মেয়ের বিয়ের আয়োজন স্ত্রী, ছেলে ও প্রতিবেশীদের উপর ছেড়ে দিয়ে প্রচারে নামতে হচ্ছে। আমাদের এলাকায় সেই অর্থে কোনও দলই উন্নয়ন করেনি। তাই বিধায়ক হয়ে জিতে আসার পর উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যেই ভোটপ্রচারে নেমেছি। আমি জানি, এলাকাবাসী আমাকে অত্যন্ত ভালবাসে। মেয়ের বিয়ের আয়োজনে কোনও অসুবিধা হবে না।
কালিয়াগঞ্জ ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা বালাসে বাড়ি কমলবাবুর। তাঁদের যৌথ পরিবার। বাড়িতে বয়স্ক কাকা, জ্যাঠা ছাড়াও ৯০ বছর বয়স্ক মা রয়েছেন। কমলবাবুর দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বছর দশেক আগে। ছোট মেয়ে পুলিসে কর্মরত। করণদিঘি থানায় পোস্টিং। তাঁরই বিয়ে। জামাইও পুলিসে কর্মরত। ছেলে ছোট পড়াশুনা করছে। ছেলে, মা আর পরিবারের অন্যান্যরা মিলে বিয়ের আয়োজন সামলাচ্ছেন। এলাকাবাসীরাও এগিয়ে এসেছেন। ২৩ তারিখ বিয়ের দিনই প্রচারও শেষ হচ্ছে। সেদিন শেষ প্রচারে চরম ব্যস্ত থাকবেন কমলবাবু। তাই একদিকে যেমন ঘরের শুভকাজ সম্পন্ন করতে গ্রামবাসীদের উপরে ভরসা করতে হচ্ছে তাঁকে, তেমনি নির্বাচনী ময়দানে জিততেও এলাকাবাসীরাই তাঁর ভরসা। কমলবাবুর আশা, সবটাই তাঁর পক্ষে ভালো হবে।