পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি সচিন মক্কর বলেন, পুলিসের উদ্যোগে এই দিন বৈঠক হয়েছে। আমরা দুই পক্ষকেই বলেছিলাম যেকোনও ভাবেই হোক পঞ্চায়েত খুলতে হবে। দুই পক্ষ আলোচনা করে কী কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমি বলতে পারব না। তবে শুক্রবার পঞ্চায়েত অফিস খোলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চোপড়ার কংগ্রেস নেতা তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ফেরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আগাগোড়াই ১৪ দফা দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এই দিনের বৈঠকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সাত জন করে প্রতিনিধি ও প্রধানকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন হবে। ওই কমিটিই পঞ্চায়েত পরিচালনা করবে। বাকি পঞ্চায়েত সদস্যদের কোনও ভূমিকা থাকবে না। আমরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ ওরফে নাথু সহ অনেকেই এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা কেউ এদিনের বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী ওখানে জয়ী হয়নি। পঞ্চায়েত চালাবে নির্বাচিত সদস্য, প্রধানরা। কোনও নেতা বা প্রতিনিধি নয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, যৌথ পরিচালন কমিটি পঞ্চায়েত পরিচালনা করবে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্বও এই কমিটির। একাধিক সংঘর্ষে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার দুই দলের প্রতিনিধি ও স্থানীয় এক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দিয়ে পঞ্চায়েত খোলানো হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস সিপিএম জোটের সংঘর্ষে লক্ষ্মীপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নির্বাচনের শেষেও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। ইতিমধ্যেই দু’জন খুন হয়েছেন সেখানে। পঞ্চায়েত ফলাফলে দেখা যায় ১৩টি সংসদের সবক’টিতেই তৃণমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস অভিযোগ তোলে ভোটগণনার দিন গণনা কেন্দ্রে বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল গণনা কেন্দ্রের দখল নিয়ে ফলাফলে কারচুপি করেছে। সেই থেকেই নির্বাচিত সদস্যদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে তারা পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রশাসন পুলিস মোতায়েন করে একদিন অফিসটি খুলে বোর্ড গঠন করে। তারপর আবার সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও তাই আছে।