কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, আটা বোঝাই লরি চালকের নাম শাহিদ আলি। গাড়ির খালাসির নাম গণেশ রায়। দু’জনেরই বাড়ি নিম্ন অসমের গোসাঁইগাঁওয়ে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য এদিনই পুলিস ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালতে তুলে সাতদিনের হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, উদ্ধার হওয়া আটা পরিবহণের বৈধ কোনও কাগজপত্র ধৃতদের কাছে ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে ওই চোরাই আটা রেশনের। এর পেছনে স্থানীয় কোনও চক্র কাজ করছে কি না তা বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখতে ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছি। জেলা খাদ্যদপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের বরাদ্দ আটা, চাল ও ডাল নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানা অনিয়ম চলছে। এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের লোকজন জড়িত রয়েছে। তাই পুলিসকে ঘটনার সঠিক তদন্ত করতে হবে।
চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসীম মজুমদার বলেন, বিজেপির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। চা শ্রমিকদের বরাদ্দ আটা কোনওভাবেই বাইরে যেতে পারে না। পুলিসের তদন্তেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা খাদ্য নিয়ামক প্রেসিকা মোক্তান বলেন, ওই আটা উদ্ধারের ঘটনা পুলিস এখনও আমাদের জানায়নি। আগে পুলিস বিষয়টি আমাদের জানাক তারপর আমরাও তা খতিয়ে দেখব।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম নম্বরের ১৬ চাকার ওই আটা বোঝাই লরিটি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থেকে অসমের ডিব্রুগড়ে যাচ্ছিল। লরিটিতে ৫৫৭ বস্তা আটা পাওয়া যায়। পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া আটার বর্তমান বাজার মূল্য পাঁচলক্ষাধিক টাকা। উদ্ধার হওয়া আটা সরকারি গণবণ্টনের কি না তা বিস্তারিত জানতে পুলিস ধৃতদের জেরা করবে। উদ্ধার হওয়া আটা ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ কি না পুলিস খাদ্যদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাও জানার চেষ্টা করছে। ভিনরাজ্যে এই আটা পাচারের ঘটনায় স্থানীয় কোনও অসাধু চক্র গজিয়ে উঠেছে কি না পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাও জানার চেষ্টা করছে। এই জন্যই ধৃতদের পুলিস এদিন আদালতে তুলে হেফাজতে চেয়েছিল এবং হেফাজতেও পেয়েছে।