পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একজন শহরের পুর প্রশাসনের প্রধান, অন্যজন থানার সর্বময় কর্তা —দু’জনই এদিন যেন ‘ট্রাফিক পুলিস’ হিসেবে রাস্তার যানজট সামলালেন নিছক অন্য মেজাজে। যানজট মোকাবিলায় তাঁদের তৎপরতা দেখে শহরবাসীর অনেকের মধ্যেই কৌতুহল জাগলেও, তীব্র যানজটের মধ্যে এদিন আর তাঁরা মন্তব্য করার সুযোগ পাননি। চেয়ারম্যান এবং আইসির হাতের ইশারায় ছোট-বড় যানবাহন নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান হাজার হাজার মানুষ। আর সেসবের মধ্য দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী কনভয় নিয়ে চলে যান হেলিকপ্টারের উদ্দেশ্যে। এদিন কার্যত এভাবেই প্রায় এক ঘণ্টা ধরে যান নিয়ন্ত্রণ করে শহরের বুলবুলি মোড়ে মুশকিল আসান করলেন পুর ও পুলিস প্রশাসনের প্রধানরা।
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, এই শহরে যানজট চেনা দৃশ্য। কোথায় কী সমস্যা হতে পারে, কোথায় সমস্যা বেশি হতে পারে, সেসব অজানা নয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মহানন্দা ভবন থেকে ফিরে এসে দেখি শহরের ব্যস্ত এলাকা বুলবুলি মোড়ে যানবাহনে ঠাসা রয়েছে। এমতাবস্থায় এগিয়ে না গিয়ে পারলাম না। তাই নিজেই চৌমাথায় দাঁড়িয়ে সকলকে চলাচলে সাহায্য করেছি, এই মাত্র। এখানে কারও অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটা আমার শহর। সাধারণ মানুষের সমস্যা যাতে না হয়, সেটা খেয়াল রাখা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। স্বাভাবিক কারণেই আমি এগিয়ে এসেছি।
এবিষয়ে মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাজা বলেন, সকালে ব্যস্ত সময়ে শহরের বুলবুলি মোড়ে যানজট বেঁধে গিয়েছিল। সে সময় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যদিও বেশিক্ষণ যানজট ছিল না। যান চলাচল স্বাভাবিক করে থানায় ফিরেছি।
প্রতিমুহূর্তে শহরে যানজট নিয়ে দুর্ভোগ কমবেশি লেগেই থাকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সফরের আগে বাইপাস খুলে যাওয়ায় এদিন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন যাত্রীরা। তা সত্ত্বেও সকালের ব্যস্ত সময়ে শহরের বুলবুলি মোড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার আগে যানজট বেঁধে যায়। এদিন দুপুর ১২ টা থেকে একটা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে আসা উৎসাহী জনতা, অন্যদিকে প্রচুর যানবাহন একসঙ্গে চলে আসায় ভিড়ে ঠাসা শহরের রাস্তা দিয়ে সেসময় পথচলা দায় হয়ে ওঠে।