বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গারামপুর পৌঁছন। তাঁর হেলিকপ্টার স্টেডিয়ামের পাশের মাঠে নামতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকে সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করেছিলেন। হেলিকপ্টার নামতে দেখে আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ হেলিপ্যাডের দিকে দৌড় লাগায়। মুখ্যমন্ত্রী যখন সভা মঞ্চের দিকে হেঁটে যান তখন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে স্লোগানে ভরিয়ে দেন চারদিক। হেলিপ্যাড এলাকা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করা থাকলেও সাধারণ মানুষের ভিড় সামাল দিতে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিস কর্মীরা হিমশিম খেয়ে যান।
তৃণমূল সমর্থক জয়নাল হোসেন বলেন, আমরা জানি মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসেছেন। তবুও তাঁকে এক পলক কাছ থেকে দেখার জন্য কুশমণ্ডি থেকে সকালেই চলে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী এখান থেকে বেরনোর পরই ফিরব। দল থেকে আমাদের গঙ্গারামপুরে আসার জন্য বলা হয়নি। স্বেচ্ছায় এসেছি দিদিকে দেখতে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। তিনি আমাদের জেলায় এসেছেন, তাই আমরা গ্রাম থেকে চলে এসেছি। তপন থেকে আসা সৈকত সরকার বলেন, আমি কাজে গঙ্গারামপুরে এসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে সভা করতে আসছেন জেনে এখানে চলে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও দিন সামনে থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়নি। তাই এসেছি। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী না। দূর থেকে হলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে আনন্দ হল।
তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, এখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা ছিল। কোনওরাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। সেজন্যই আমরা ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের এখানে জমায়েত করিনি। তাঁরা আবেগে আর ঘরে বসে থাকতে না পেরে দিদিকে দেখতে চলে এসেছেন। সাধারণ লোকও প্রচুর এসেছিল। জেলার মানুষ দিদিকে অসম্ভব ভালোবাসে। হেলিপ্যাডের সামনে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল। আমি দেখেছি। আজ আবারও প্রমাণ হল এই জেলা তৃণমূলের ছিল, থাকবে। সাধারণ মানুষকে না ডাকলেও তাদের উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে।
গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে সাধারণ মানুষ মোবাইল ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তুলতে শুরু করে দেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় দু’ঘণ্টা প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। ততক্ষণ প্রচুর লোক গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামের আশপাশ দিয়ে ঠাঁয় বসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার উড়তে দেখেই হাত নাড়তে থাকেন তাঁরা।