গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মাথাভাঙা কলেজের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র মলয় অধিকারী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই আমি রেলের টিকিটের জন্য ঘুরছি। ওই কাউন্টার থেকে এখন রেলের টিকিট কাটা যায়। বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার জন্য ক’দিন ধরে টিকিট কাটাতে কাগজে নাম লেখাই। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাতকারণে টিকিট দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা আমাকে টিকিট দিচ্ছেন না। এদিন সকালে আমি ফের টিকিট কাটার জন্য কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়াই। কিন্তু নাম লেখা কাগজের সিরিয়াল নম্বরে আমার নাম এলে দেখা যায় আমাকে টিকিট না দিয়ে পরেরজনকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে আমি জানতে চাইলে আমাকে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। পরে আমি হস্টেল থেকে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে এসে কাউন্টারে থাকা ব্যক্তির কাছে সিরিয়াল নম্বর লেখা কাগজটি দেখতে চাই। সেই সময়ে কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি কয়েকজন বহিরাগতকে ফোন করে ডেকে এনে আমাকে এবং আমার বন্ধুদের বেধড়ক মারধর করে। প্রতিবাদে আমরা ওই কাউন্টারের সামনে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন যারা ছাত্রদের মারধর করেছে তারা কাউন্টারের সামনেই সবসময়ে ঘুরে বেড়ায়। ওরাই আগবাড়িয়ে টিকিট কেটে দেয়। বিনিময়ে টাকাও নেয়। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ওরাই কব্জায় রেখেছে। দিনের পর দিন এই দালালরা সাধারণ মানুষকে কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতেই দেয় না। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
মাথাভাঙা থানার আইসি প্রদীপ সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি’র ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ওই ছবি দেখে মারধরে জড়িতদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে। রেলের কাউন্টারে ছাত্রদের মারধরে যারা জড়িত তাদের ধরা হবে।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেলের টিকিট কাউন্টারে এদিন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি। তিনি বলেন, আমি কাউকেই বাইরে থেকে ডেকে নিয়ে আসিনি। আমার বিরুদ্ধে ওরা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। আমি পুলিসকে তদন্তের স্বার্থে সবটা বলব। এদিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়ার কমার্শিয়াল ম্যানজার অমরেন্দ্র মোহন ঠাকুর জানিয়েছেন, মাথাভাঙার ওই কাউন্টার থেকে রেল সরাসরি টিকিট বিক্রি করে না। একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিনের ঘটনা আমরা শুনেছি। তদন্ত হবে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।