কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, অযথা সরকারি টাকা খরচ বন্ধ করা আমার লক্ষ্য। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের বাজেট অনেকটাই কাটছাঁট করা হয়েছে। তবে তাতে কোনও সমস্যা হবে না। যেখানে যেটুক খরচ করা প্রয়োজন, তা আমরা করছি।
উল্লেখ্য, আগে মুখ্যমন্ত্রীরা মাঝেমধ্যে কলকাতা ছেড়ে বেরোতেন। মহাকরণের অলিন্দে বসেই তাঁরা রাজ্যপাট চালাতেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত জেলা সফরে যেতে শুরু করেন। রাজ্য প্রশাসনকে তিনি জেলার তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। জেলায় জেলায় গিয়ে তিনি এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন। প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রকল্প ধরে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত জানতে চান। প্রকল্পের অগ্রগতি তেমন না হলে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন। ভালো কাজের জন্য অনেকের প্রশংসাও তিনি করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খাওয়ার পর আধিকারিকরা জোরকদমে কাজে লেগে পড়েন। ওইসব বৈঠকে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষও অংশ নেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের অন্দরমহলে কার্যত ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। সফরের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই প্রশাসনের আধিকারিকরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এবারের মালদহ সফরের দিনক্ষণ শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়। নবনিযুক্ত জেলাশাসক প্রথম থেকেই সফরের খরচ কমানোর ব্যাপারে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৪০টি দুধ সাদা এসইউভি গাড়ি আনা হয়েছিল। পাশাপাশি জেলার গাড়িও নেওয়া হয়েছিল। এবার শুধুমাত্র জেলা থেকে গুটিকয় এসইউভি গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তার জন্য এবার মোট আড়াই হাজার পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। অথচ পুলিস কর্মীদের জন্য মাত্র এক হাজার বোতল পানীয় জল বরাদ্দ করা হয়েছে। গতবার খাওয়া-দাওয়ার জন্য মাথাপিছু ৫০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার তা কমিয়ে ২৫০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাজেট প্রায় অর্ধেক করা হয়েছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবহণ) পালদেন শেরপা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় চারচাকা গাড়ির প্রয়োজন হয়। এবার আমরা ৫-৬টি চারচাকা গাড়ি ভাড়া করছি। পরিবহণ দপ্তর থেকে আমাদের দুটি ভলভো বাস দেওয়া হয়েছে। ওই বাসে সচিব, আমলা সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা সভাস্থলে যাতায়াত করবেন। সচিবরা জেলার কোনও প্রান্তে যেতে চাইলে আমরা গাড়ির ব্যবস্থা করে দেব।
মালদহ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। ফলে পুলিশ কর্মীদের রাতের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের টিফিন ও জলের ব্যবস্থা প্রয়োজনে আমরা করে দেব। প্রশাসনের বাজেট কাটছাঁট নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। তবে সরকারি অর্থের অপচয় বন্ধ হলে ভালোই হবে।