পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াই এস জগন্নাথ রাও বলেন, আমরা জেলাজুড়ে জনসংযোগ রক্ষায় নেমেছি। প্রতিটি থানায় জনসংযোগ এর জন্য আলাদা করে একজন পুলিস অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। চা বলয় সহ প্রত্যন্ত এলাকায় হেল্পডেস্ক তৈরি করে আমরা মানুষের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ শুনছি। এরজন্য প্রতিটি থানার অধীনে প্রত্যন্ত গ্রামে যাওয়া হচ্ছে। আমরা চাইছি চা বলয়ের ছেলেমেয়েরা হাতেকলমে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণ করুক। তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে লাগাতার প্রচার চলছে। আমরা এসবের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতেই জেলা পুলিস এমন জোর দিয়েছে। এরজন্য কবে কোথায় কি কর্মসূচি রয়েছে তা স্থির করা হয়েছে। সেজন্য তৈরি ক্যালেন্ডার ধরে প্রতিটি থানায় অফিসাররা জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করতে গ্রামে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই জেলায় কোনও না কোনও প্রান্তে এমন কর্মসূচি চলছে। বিশ্ব ক্যান্সার, এইডস, ডায়াবেটিস দিবস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিনগুলি বেছে বিশেষ জনসংযোগ অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। প্রতিমাসেই কোনও এলাকায় গিয়ে রক্তদান শিবিব করা, চারা গাছ লাগানো হচ্ছে। এসব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় এবং ধারাবাহিকতা থাকে সেজন্য প্রতিটি থানায় একজন করে কমিউনিটি পুলিস আধিকারিক সম্প্রতি নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই জেলা পুলিসের পাঠানো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিটি থানায় জনসংযোগ বিস্তারের কাজ চলছে। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনতে প্রত্যন্ত এলাকায় শিবির করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন পুলিস কর্তাদের উপস্থিতিতে সেই শিবিরগুলিতে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানা হচ্ছে। এলাকার লোকজনের কাছ থেকেও পুলিস কর্মীরা নানা বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করে তা লিখে রাখছেন। জেলার চা বলয়ে বিশেষ করে ডুয়ার্সে জনসংযোগ রক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মাল, নাগরাকাটা, মেটেলি, বানারহাটে পুলিসের উদ্যোগে দ্বিতীয় দফায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। তাতে ১১৮ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পড়ুয়াদের কম্পিউটারের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আদিবাসী পড়ুয়াদের পড়াশুনায় জোর দিতে স্কুল খোলা হয়েছে। জেলাজুড়ে এমন ৬৫টি স্কুল চলছে। যেখানে ৪৩ জন শিক্ষক পড়াচ্ছেন।
জলপাইগুড়ি মহিলা থানার ওসি’র নেতৃত্বে থানার অফিসাররা নারীপাচার রুখতে ছাত্রীদের সচেতন করছেন। সম্প্রতি ডুয়ার্সে হাতির পাল লোকালয়ে এসে ফসল খাচ্ছে। এতে হাতি-মানুষের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। এটা রুখতে এবং হাতি গ্রামে এলে কি করণীয় আর কি করা উচিত নয় সেব্যাপারে লিফলেট বিলি করে প্রচার চালানো হচ্ছে।