কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখে পুজো ও মেলার জন্য এক হাজার পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। সিসিটিভি ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। চুরি ছিনতাই রুখতে সাদা পোশাকে প্রচুর পুলিস ও সিভিক মোতায়েন করা হয়েছে।
বোল্লা পুজোকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার পুজো কমিটির পাশাপাশি পুলিস প্রশাসনের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। পুরো মন্দিরকে নানা ধরনের ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলার পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা পৌঁছে গিয়েছেন। এদিন মন্দির চত্বরে পরিদর্শন করেন পুলিসের শীর্ষকর্তারা। এবছর বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পুজো দেখার জন্য বোল্লা মোড় থেকে মন্দির পর্যন্ত টোটোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পানীয় জল, বায়ো টয়লেট, বিশ্রাম নেবার জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে। প্রথা মেনে এবছর কয়েক হাজার পাঁঠা বলি ও মোষ উৎসর্গ করা হবে। সোমবার পর্যন্ত চলা মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে। বোল্লা মোড় থেকে মন্দির পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা খুবই ছোট ও রাস্তার ধারে দোকান বসায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। এবছর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের তরফে সেই সরু রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তার থেকে তিন ফুট দূরে দোকান বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে এবছর দর্শনার্থীদের কোনওরকম অসুবিধায় পড়তে হবে না বলেই মনে করছে মন্দির কমিটি। পুজোকে কেন্দ্র করে জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, বিহার, বাংলাদেশ থেকে দর্শনার্থীরা ইতিমধ্যে জেলায় আসতে শুরু করেছেন। ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ দোকান সাজানো কাজ শেষ করে ফেলেছেন। বাতাসা, কদমা, সন্দেশ, গজা তৈরিতে ব্যাপক ব্যস্ততা চলছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পুজো ও মেলা সম্পন্ন করতে প্রশাসন, পুলিস ও পুজো কমিটি একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে।