গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা চাইল্ড লাইনের অন্যতম সদস্য উত্তম দাস বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি সংসদে ভিলেজ লেভেল চাইন্ড প্রটেকশন কমিটি আছে। এই কমিটির সভাপতি হন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান। কিন্তু কোথাও এই কমিটি কাজ করছে না। আমরা বিভিন্ন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, বিডিওদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়ে জানাচ্ছি। এনিয়ে জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক অচিন্ত্য মণ্ডল অবশ্য বলেন, কমিটিগুলি কাজ করছে বলেই আমরা সাফল্য পাচ্ছি। তবে গ্রাম কমিটিগুলিকে যুক্ত করার ধারণাটি নতুন হওয়ায় কোথাও সামান্য অসুবিধা হতে পারে। আমরা দেখছি।
প্রশাসন জানিয়েছে, গ্রাম শিশু সুরক্ষা কমিটিতে ১২-১৮ বছর বয়সের দুই জন বালক সদস্য হিসেবে থাকে। এদের মনোনয়ন করে সমাজের শিশু গোষ্ঠী কিংবা স্কুলের শিক্ষকেরা। এছাড়াও কমিটিতে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী (এএনএম), স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য, পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর প্রতিনিধি সব মিলিয়ে ১৫ জনের সদস্য থাকেন। কমিটি এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির খবর রাখা যায়। কমিটি সক্রিয় ভাবে কাজ করলে গ্রামের কোন বাড়িতে বাল্যবিবাহ হচ্ছে, কোন বাড়িতে শিশু শ্রমিক আছে, কোন শিশু পাচার হয়েছে কি না, বাইরে কাজ করতে গিয়েছে কি না— এমন নানান তথ্য মুহূর্তেই পাওয়া সম্ভব। সঠিক সময়ে তথ্য প্রশাসনের হাতে এলে শিশুর অধিকার রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে নামেই ভিলেজ লেভেল চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি হয়েছে। উপকার কিছুই হচ্ছে না। প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে এই কমিটিগুলিকে কেন সক্রিয় করছে না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগের দাবি উঠেছে।
জেলা চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০ জন নাবালিকার বিয়ে আটকানো হয়েছে। এছাড়াও শিশু শ্রম রোধে কয়েকবার শ্রম দপ্তরের সঙ্গে অভিযান করা হয়েছে। দুর্গাপুজার অষ্টমীর দিন চাকুলিয়ার একটি পরিবার তাদের নাবালিকা মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের সঙ্গে। তা আটকানো গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের একটি প্রকল্প হচ্ছে চাইল্ড লাইন। শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সুরক্ষার জন্য সারা দেশে ১০৯৮ নম্বরের টোল ফ্রি ফোন চালু আছে। বাল্যবিবাহ বা শিশু শ্রম রুখতে বা কোনও শিশুকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে দিনে রাতে যে কোনও সময় ওই নম্বরে ফোন করে জানানো যায়। কিন্তু এনিয়ে প্রচারের অভাবও রয়েছে।