গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কালদিঘি পার্কের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ এখন শেষের মুখে। সেটির উদ্বোধনের তোড়জোড় চলছে। শীতের শুরুতেই কালদিঘিতে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে। মানুষজন ভিড় করে সেখানে। সেই পরিবেশেই নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা পার্কটির উদ্বোধন করা হবে। শুধু তাই নয়, ওই উদ্বোধনের দিন থেকেই সেখানে পর্যটন মেলাও শুরু হবে। ঐতিহাসিক বাণগড়কে ফোকাসে রেখে সেই পযর্টন মেলার জন্যও পুরসভা ও প্রশাসনে জোর প্রস্তুতি চলছে।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, ২০ ডিসেম্বর বহু প্রতীক্ষিত নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা কালদিঘি পার্ক খুলে দেওয়া হবে। কালদিঘির চারপাশে ঘুরবে বুলেট ট্রেন। কালদিঘির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাবেন পর্যটকেরা। সেদিন থেকে আমরা সাত দিনের পর্যটন মেলাও করছি পুরসভার উদ্যোগে। আমাদের শহরের মধ্যেই রয়েছে বাণগড় ও কালদিঘি। তাদের সামনে তুলে ধরতেই এই পর্যটন উৎসব। সেখানে বাণগড়ের পাশাপাশি জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলির ইতিহাসও তুলে ধরা হবে। বড়দিন উপলক্ষে এহবে আমাদের শহরবাসীর কাছে উপহার।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কালদিঘি পার্কে শিশুদের বিনোদনের জন্য বুলেট ট্রেন চলে এসেছে। প্রায় পাঁচ কিমি এলাকা জুড়ে ৩০ মিনিট ধরে ঘুরবে সেই বুলেট ট্রেন। তিনটি কামরা রয়েছে বুলেট ট্রেনে। পাঁচ কিমি পথে থাকছে একটি স্টেশন। বুলেট ট্রেনে উঠলে যাত্রীরা রবীন্দ্রনাথের গান শুনতে পাবেন। ট্রেনটি হায়দরাবাদ থেকে আনা হয়েছে। বুলেট ট্রেনের টিকিট সবার জন্য সমান রাখা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষ ছাড়ের দিকটি এখনই ভাবা হচ্ছে না।
এদিকে এই প্রকল্প উদ্বোধনের ব্যাপারে ভিন্ন কথাই শুনিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। তিনি বলেন, এই প্রকল্প আমিই হাতে নিয়েছিলাম। আমিই এর কাজ শুরু করেছিলাম। এখনও এটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিতে পুর প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। অনেক আগেই এটি খুলে দেওয়া উচিত ছিল। কালদিঘিকে নিয়ে যে পরিকল্পনা করেছিলাম বাস্তবে তার কিছুই কাজ হয়নি। বুলেট ট্রেনের যাত্রাপথে তিনটি স্টেশন হওয়ার কথা। সেখানে শুনছি একটি স্টেশন হবে। সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে পার্কে আশা মানুষদের কালদিঘির জলে বলের মাধ্যমে ভেসে বেড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কালদিঘিতে বোটিং চালু করার কথা ছিল। সেসব কিছুই হয়নি। শুনেছি শুধুমাত্র শিশুদের খেলার কয়েকটি সামগ্রী বসবে। পুরো প্রকল্প কাটছাট করে বাসিন্দাদের মনভোলানোর চেষ্টা হচ্ছে।