রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জেলাজুড়ে টোটো চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্দেশ দেওয়া হয় শুধুমাত্র ই-রিকশ রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশিকা পেয়ে টোটো চালকদের একাধিকবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে দেখা যায়। অভিযোগ, এই ঘোষণার পর কয়েকদিন প্রচার চালালেও তারপর সব থেমে যায়। টোটোর বিরুদ্ধে কোথাও কোনও অভিযান চালানো হয়নি। শহর-গ্রাম সর্বত্র টোটো ক্রমশ বেড়ে চলেছে। জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। বেআইনি টোটো নিয়ে জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ধরপাকড়ও হচ্ছে।
বালুরঘাট শহরে প্রায় চার হাজার, গঙ্গারামপুর শহরে তিন হাজার, বুনিয়াদপুর শহরে দু’হাজার টোটো চলাচল করে। সবমিলিয়ে জেলাজুড়ে ১০ হাজারের বেশি টোটো চলাচল করে। অধিকাংশ টোটোর কোনও টিন নম্বর নেই। জেলাজুড়ে নিত্যদিন টোটোর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। টোটো দুর্ঘটনায় পড়লে কোনও বিমা পাওয়া যায় না। একারণেই জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের তরফে জেলায় নির্দেশিকা জারি করা হয় টোটোর বদলে ই-রিকশ কিনতে হবে। শুধুমাত্র ই-রিকশগুলিকেই লাইন্সেস প্রদান করা হবে। তাদের লাইন্সেস, নম্বর দিয়ে বিমার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, টোটোগুলিকে কিছু বাড়তি টাকা দিয়ে ডিলারদের কাছে পুরনো টোটো দিয়ে ই-রিকশ বদল করে নিতে বলা হয়। শুধুমাত্র ই-রিকশই লাইন্সেস পাবে। তবে বাকি টিন নম্বরবিহীন টোটোকে নতুন করে লাইন্সেস দেওয়া হবে না। সেগুলি চলাচল করলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। পরিবহণ দপ্তরের এমন নিয়মে টোটোর অনেক দাপাদাপি কমবে বলেই মনে করেছিল জেলাবাসী। কিন্তু বাস্তবে তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নম্বর ছাড়াই ই-রিকশ বিক্রি করছে ডিলাররা। জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাদের লাইন্সেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে টোটো না থাকলেও অনেকে নতুন করে টোটো কিনে রাস্তায় নামাচ্ছে। একদিকে অভিযান না চালানোর কারণে টোটোর দাপাদাপি যেমন বেড়ে চলেছে, অন্যদিকে প্রতিদিন নতুন টোটো বিক্রির কারণে টোটোর সংখ্যা বাড়ছে। এতে জেলাজুড়ে যানজট বাড়ছে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকাগুলিতে চরম যানজটে নিত্যদিন সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। ঘোষণার পরেও বেআইনি টোটো নিয়ে কেন কোনও অভিযান হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।