কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পূর্ব পরিচিত ওই মহিলার সঙ্গে বামনগোলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এদিন গোপনে দেখা করার পরিকল্পনা করেন। সেইমতো ওই মহিলা এদিন ইংলিশবাজার শহরে আসেন। ভোর নাগাদ তিনি একটি গাড়ি ভাড়া করে তাঁর বামনগোলার বাড়ি থেকে বের হন। বিষয়টি আঁচ করে তাঁর স্ত্রীও অন্য এক যুবকের বাইকে সওয়ার হয়ে স্বামীকে অনুসরণ করতে থাকেন। নেতাজী মোড়ে উভয়পক্ষের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়। খবর পেয়ে ইংলিশবাজার থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিস তিনজনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। থানার আইসি শান্তনু মিত্র বলেন, কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করতে রাজি হয়নি। নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন। আমরা মুচলেকা লিখিয়ে তিনজনকে ছেড়ে দিয়েছি।
ভিন জেলার বাসিন্দা ওই বধূ বলেন, আমার স্বামী চাকরি করেন। বাড়িতে ছোট সন্তান রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বনিবনা হচ্ছিল না। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। বাপের বাড়িও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। এদিকে, বামনগোলার ওই ব্যক্তির সঙ্গে কয়েকমাস আগে পরিচয় হয়। তারপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। উনি আমার ‘বিশেষ বন্ধু’। তাই ওঁর কাছে আশ্রয় নিতে এসেছি। এখন আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। এদিন ওই ব্যক্তির স্ত্রী আমাকে মারধর করেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ জানাইনি।
ওই ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, অন্য মহিলার সঙ্গে স্বামীকে ঘুরতে দেখে আমি মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। দু’জনকে প্রকাশ্যে মারধর না করলেই ভালো হতো।
ওই সরকারি কর্মী বলেন, আমি বান্ধবীকে বাড়িতে আশ্রয় দেব। তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না।
নেতাজি মোড়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রথমে ওই ব্যক্তি. তাঁর স্ত্রীকে না চেনার ভান করছিলেন। উল্টে গাড়িতে তাঁর পাশে বসে থাকা মহিলার সঙ্গেই স্ত্রীর মতো আচরণ করছিলেন। ফলে আমরা প্রথমে ভাবি, ছিনতাই বা কেপমারির ঘটনা হবে। যদিও পরে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।