পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষ সপ্তাহে চারটি সোনার বাট সহ দু’জনকে ডিআরআই গ্রেপ্তার করেছিল। এর আগে গত আগস্ট মাসে ডিআরআই’র অভিযানে তিনজন মিজোরামের যুবক ধরা পড়েছিল। সেবার উদ্ধার করা হয়েছিল ১০ কেজি সোনা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, শিলিগুড়িকে করিডর করে সোনাপাচারের ছক ডিআরআই বারেবারে বানচাল করলেও এই রুট দপ্তরের অফিসাররা ভেঙে দিতে পারছেন না।
ডিআইআরের আইনজীবী ত্রিদিব সাহা বলেন, ডিআরআই’র শিলিগুড়ি আঞ্চলিক অফিসের আধিকারিকরা সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন। ধৃতরা হল মহম্মদ ফিরোজ এবং আমির খান। দু’জনেই মণিপুরের বাসিন্দা। এরা মায়ানমার থেকে ২৫ কেজি ৭৬৬ গ্রাম সোনা ইন্দো-মায়ানমার সীমা অতিক্রম করে সড়ক পথে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসে। এখানেই ওই সোনা কাউকে দেওয়ার কথা ছিল। একটি ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতরা পাচারের কথা স্বীকার করেছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বর্তমান বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকারও বেশি। এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বুধবার ফের তাদের আদালতে শুনানির জন্য তোলা হবে।
সোমবার রাতে অসম নম্বরের একটি গাড়িতে করে সোনা পাচার হতে পারে এই খবর পেয়ে ডিআরআই’র অফিসাররা দার্জিলিং মোড়ে ঘাঁটি গাড়েন। অসম নম্বরের নির্দিষ্ট ওই গাড়িটি সেখানে এলে অফিসাররা সেটি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। তখনই কাপড়ে জড়ানো সোনার বিস্কুট ও বাটগুলি পাওয়া যায়। এরপর অভিযুক্ত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা পাচারের কথা স্বীকার করলে তাদের রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আমির খানের বাড়ি মণিপুরের থউবাল জেলার লিলংয়ে। ধৃত ফিরোজের বাড়ি লিলং থানার লিলং তুরেলে। প্রথমজনের বয়স ২১ বছর এবং দ্বিতীয়জনের বয়স ২৪ বছর।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর চারটি সোনার বাট সহ ডিআরআই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এদের একজনকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে কলকাতাগামী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস থেকে, অন্যজনকে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেবার উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। ধৃতরা জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে সোনা এনে তা কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল। এর আগে ১৮ আগস্ট একটি প্রাইভেট গাড়ির হেডরেস্ট থেকে প্রায় ১০ কেজি সোনা ডিআরআই উদ্ধার করেছিল। সেবার ঘোষপুকুরের গোয়ালটুলিতে দিল্লির নম্বরের একটি প্রাইভেট গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ডিআরআই ওই সোনা উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় মিজোরামের তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
অন্যান্যবার সোনা উদ্ধারের পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারীরা সেসব কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার কথা জানালেও সোমবারের ঘটনায় ধৃতরা শিলিগুড়িতেই তা হাতবদলের কথা জানায়। একজনের হাত দিয়ে মণিপুর কিংবা মিজোরাম থেকে সোনা এনে পাচার করা হলে সেক্ষেত্রে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি, এটা আঁচ করেই এবার শিলিগুড়িতে হাতবদলের চেষ্টা চলছিল। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান অফিসারদের। এই ঘটনায় শহরের কেউ জড়িত আছে কিনা, তা ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা চালাবেন।