পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন হাসমিচকে রাস্তার একাংশে মঞ্চ বেঁধে তৃণমূলের সকল স্তরের নেতারা অবস্থান বিক্ষোভ সভা করেন। শিলিগুড়ি টাউন তৃণমূল আয়োজিত ওই সভায় দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, বামশাসিত পুরসভা কোনও কাজ করছে না। শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এক হাজারের উপরে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। এমন অবস্থায় মেয়র কয়েকজন পরিষদ সদস্যকে নিয়ে চীন সফর করে এলেন। মেয়রের লজ্জা হওয়া উচিত। এজন্য ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। শহরের জঞ্জাল নিয়মিত সাফাই করা হয় না। পানীয় জলের পরিষেবা থেকে সমস্তরকম সুষ্ঠু নাগরিক পরিষেবা থেকে এই বোর্ড শহরবাসীকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এই মেয়রের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। যত তাড়াতাড়ি এই বোর্ড সরবে তত নাগরিকদের মঙ্গল হবে। আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ড ধরে ধরে আন্দোলনে নেমেছি। খুব শীঘ্রই আমরা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ঘেরাও করব।
এদিকে অশোকবাবু রঞ্জনবাবুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ওদের ক্ষমতা থাকলে অনাস্থা এনে দেখাক। আমার মনে হয়, ওদের দলের কাউন্সিলাররাও তা সমর্থন করবেন না। আমরা নানারকম অসুবিধার মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠুভাবে বোর্ড পরিচালনা করছি। রাজ্য সরকার আর্থিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। তবুও আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ায় সচেষ্ট আছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬-৭টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ সম্প্রতি বেড়েছে। মেয়র এদিন ১ নম্বর বরোর আধিকারিকদের নিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে রিভিউ মিটিং করেন। মেয়রের দাবি, ওই বরোর অধীন ওয়ার্ডগুলিতে অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে সাফাই করার কাজ চলছে। নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে। ১, ২ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য শিবির করা হয়েছে। ওই শিবিরের মাধ্যমে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা রক্ত সংগ্রহের কাজ করছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে এদিন পর্যন্ত ২ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ জন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ জন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।