পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরে পর্যটনমন্ত্রী সাংবাদিদের কাছে বলেন, ওই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। ইতিমধ্যে ওই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে গ্যাস বেলুন দেখে শিশুরা আকৃষ্ট হয়। তারা সেটির আনন্দ উপভোগ করতে চায়। গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার কী কৌশলে তৈরি তা আমার জানা নেই। কাল, বুধবার এই বিষয়ে পুলিস কমিশনারের সঙ্গে আবার কথা বলব।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে রবিবার সন্ধ্যায় কাওয়াখালিতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাঠে একটি মেলা বসে। আচমকা ওই মেলায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার ফেটে এক মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর নাম সাধনা রায় (৩৭)। মাটিগাড়ার সমরনগরে তাঁর বাড়ি। এই ঘটনায় গ্যাস বেলুন বিক্রেতা রতন বণিক ও তাঁর ছেলে, আরএক মহিলা সহ পাঁচজন জখম হয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন নার্সিংহোমে জখমদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনার পর অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করেছে পুলিস।
এনজেপি থানার পুলিস জানিয়েছে, ওই দিন ঘটনার পরই এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। এদিন ফের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হওয়া গ্যাস সিলিন্ডারের টুকরা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা, জখমদের আত্মীয় এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পর ওই ঘটনা নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে এদিন সকালে ওই মাঠ থেকে অনুষ্ঠানের মঞ্চ খোলার কাজ চলছিল। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিল দর্শনার্থীদের চটি ও কিছু দোকানের উপকরণ। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অন্যতম আশিস চৌধুরী বলেন, পুলিস, প্রশাসন ও এসজেডিএ’র কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মেনে অনুষ্ঠান স্থলে ব্যবসায়ীদের দোকান বসাতে বারণ করা হয়। তা সত্ত্বেও কিছু লোক জোর করে অনুষ্ঠানস্থলে দোকান বসান। বিষয়টি পুলিসকে আগেই জানানো হয়েছিল। সুতরাং বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য আমরা দায়ী নই। এটা একটা দুর্ঘটনা। এই ঘটনা দুঃখজনক। আমরা যতটা পারব নিহত মহিলার পরিবারকে এবং আহতদের সহযোগিতা করব। আমাদের কয়েকজন সদস্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার কাজ তদরকি করছেন।