গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঈশা খান চৌধুরী বলেন, এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে, ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিসে আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে লম্বা লাইন পড়ছে। নোট বাতিলের সময় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা এটিএম কাউন্টারের সামনে যেমন লাইন পড়ছিল, সেই স্মৃতি ফিরে আসছে মানুষের মনে।
কংগ্রেস বিধায়কের বক্তব্য, সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই এনআরসি নিয়ে প্রবল আতঙ্ক রয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, দেশছাড়া হতে হবে। সংখ্যালঘু নাগরিকদের পাশাপাশি, মতুয়া সহ বিভিন্ন শ্রেণীভুক্তরাও আমাদের কাছে ছুটে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইছেন। দরিদ্র ও নিরক্ষর মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেশি। আমি এই বিষয়টি সর্বভারতীয় দলনেত্রীকে জানিয়েছি। তিনি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমার পাঠানো চিঠির উত্তরও পাঠিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, আমাদের আন্দোলনের পিছনে সর্বভারতীয় কংগ্রেস সবরকম মদত দেবে।
বিধায়ক বলেন, জেলা থেকে পাঠানো এই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করার পাশাপাশি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে মালদহ জেলার জনসংখ্যা, শ্রেণীবিভাগ, মানুষের গড় আয়, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা সম্বন্ধেও জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা সব তথ্যই পাঠিয়ে দেব।
পাশাপাশি জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এনআরসি বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচীর অন্তত কোনও একটিতে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের উপস্থিতির আবেদনও জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোনও একটি বড় জমায়েতে রাজ্য কংগ্রেসের পাশাপাশি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের এক বা একাধিক নেতা বা নেত্রীকে আনার চেষ্টা চলছে বলে জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, সোনিয়া গান্ধী আমাদের দলের সর্বময় নেত্রী। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া চিঠি আমাদের আন্দোলনকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে। আমরা আগামীতে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে আরও বেশি করে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
তবে বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসের এই কর্মসূচীকে। বিজেপি’র জেলা সহ সভাপতি তথা গণমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কংগ্রেসের মালদহে আর কিছু নেই। যেটুকু রয়েছে আগামী নির্বাচনগুলিতে তাও মুছে যাবে। একটা সংসদ সদস্যের পদ ইতিমধ্যেই খুইয়েছে কংগ্রেস। এবার বাকিটুকুও যাবে। আমরা এনআরসি কেন প্রয়োজন তা মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করব। কংগ্রেসের ব্যাখ্যায় যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত না হন তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বিজেপি কর্মীরা।