কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিশ্বকর্মাপুজো শেষ হতেই উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যনগরী শিলিগুড়িতে বাঙালির মেগা উৎসব দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন পোশাকে দোকান সাজিয়ে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার ধরতে তাঁরা প্রচার অভিযানেও নেমেছেন। এমনকী সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবার তাঁরা দোকান খোলা রাখছেন। দোকান খোলা রাখার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এদিন দুপুরে আচমকাই আকাশে কালো মেঘ জমে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। পুজোর বাজার কার্যত পণ্ড হয়ে যায়। বৃষ্টির জেরে কিছুটা শীতের আমেজও নেমে আসে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলির মধ্যে হিলকার্ট রোড ও সেভক রোডের বাজার অন্যতম। পুজোর জন্য সংশ্লিষ্ট বাজারে পোশাক, জুতা, গয়না ও মেয়েদের সাজসজ্জার দোকান সকাল সাড়ে ৮টা মধ্যেই খুলে যায়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দোকানগুলি খোলা থাকে। বৃষ্টির জেরে দুপুরে সংশ্লিষ্ট বাজারের অধিকাংশ দোকান ছিল কার্যত ফাঁকা। বৃষ্টির সময় কয়েকটি দোকানের শেডের নীচে হাতেগোনা কিছু লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যেই একজন মালতী চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি খড়িবাড়িতে। তিনি বলেন, দুই মেয়েকে নিয়ে পুজোর কেনাকাটা করতে সবে বাজারে ঢুকেছি। বৃষ্টি নামায় সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।
হিলকার্ট রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সনৎ ভৌমিক বলেন, এবার এখনও পর্যন্ত পুজোর বাজার জমেনি। ছুটির দিন কিছুটা ব্যবসা হবে বলেই ধরেই নিয়েছিলাম। বৃষ্টি নামায় বাজার মাটি হয়ে গিয়েছে।
শুধু হিলকার্ট রোড নয়, মহাবীরস্থান, হকার্স কর্নার, এসএফরোড, বিধান মার্কেট সহ বিভিন্ন বাজারের ছবিটাও প্রায় একই ছিল। খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়ার গ্রামীণ বাজারের অবস্থাও ছিল তথৈবচ। অন্যদিনের তুলনায় এদিন মাটিগাড়া, সেভক রোডে পরপর থাকা শপিংমলে খুব একটা ভিড় ছিল না। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, পুজোর কেনাকাটা করতে দুপুরের দিকে সাধারণত গ্রাম থেকে লোকজন আসেন। এদিন দুপুরে বৃষ্টি নামায় অনেকেই বাজারমুখী হননি। যাঁরা বাজারে এসেছিলেন তাঁরা বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে কেনাকাটা না করেই ফিরে যান। শহরের বাসিন্দারা সাধারণত সন্ধ্যার পর বাজারে আসেন। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি না থাকলেও আকাশ ছিল মেঘলা। তাই বৃষ্টি নামার আশঙ্কায় অনেকে বাজারে আসেননি। কিছু মানুষ বাজারে এসে পোশাক দেখলেও তা কেনননি।
এদিন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। হিলকার্ট রোড, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো পশরা সাজাতে পারেননি। যাঁরা পশরা সাজিয়েছিলেন বৃষ্টির জলের ঝাপটা থেকে ওসব রক্ষা করতে তাঁদের পলিথিন দিয়ে ঢেকেই রাখতে হয়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে ব্যাপক লোকসান হবে। বৃষ্টিতে এদিন শিলিগুড়ির মতো উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, দিনহাটা, মাথাভাঙা, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলাতেও বাজার মার খেয়েছে।