কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ১০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এই অবস্থায় পুজোর দিনগুলিতে শহরে এই জঞ্জাল আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে তখন কি পরিস্থতি দাঁড়াবে তা ভেবে আগাম শিউড়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, পুজোর আগেই শহরে জমা সমস্ত জঞ্জাল পরিষ্কার করে ফেলা হবে।
পুরসভার প্রশাসক মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, পুরসভার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নাগরিকদের পাঠানো জঞ্জালের ছবি আসার পর এলাকা ধরে ধরে সেই আবর্জনা সাফাই করা হচ্ছে। আমরা পুজোর আগেই শহরের সমস্ত বর্জ্য তুলে ফেলব।
তবে পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় সেই আবর্জনা কোথায় ফেলা হচ্ছে পুরসভার প্রশাসক তা জানাতে চাননি। এই জঞ্জাল ফেলার জন্য দূষণের অভিযোগ তুলে কোথাও যাতে বাধা না আসে সেজন্য এই জঞ্জাল কোথায় ফেলা হচ্ছে পুরসভার জঞ্জলা বিভাগের ইনচার্জ সুময় চক্রবর্তীও তা জানাতে চাননি।
সুময়বাবু বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় শহরের জমা জঞ্জাল তো শহরের আশাপাশেই কোথাও ফেলতে হবে। কিন্তু জঞ্জাল ফেললেই দূষণের অভিযোগ তুলে বাধা আসে। তাই জঞ্জাল ফেলার জায়গার কথা কাউকে জানানো হচ্ছে না। রবিবার থেকেই শহরের আবর্জনা পুরোপুরি সাফাইয়ের কাজ শুরু করা হবে।
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ১০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কাজেই দ্রুত শহর পরিষ্কার রাখা জরুরি। ডেঙ্গু না হলেও এই জঞ্জাল থেকে শহরে অন্যান্য রোগ ব্যাধিও দ্রুত ছড়াতে পারে।
পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের অলিগুলি জঞ্জালে ভরে গিয়েছে। বাসিন্দারা সেই জমা জঞ্জালের ছবি ও এলাকার নাম পুরসভার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠাচ্ছেন। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েও জঞ্জাল সময় মতো পরিষ্কার হচ্ছে না। ওয়ার্ডের গলিগুলি ছাড়াও মায়া টকিজ রোড, প্যারালাল রোড, নিউ আলিপুরদুয়ার রোড, কলেজ রোড সহ শহরের প্রধান প্রধান ব্যস্ত রাস্তাগুলির দু’ধারে আবর্জনার স্তূপ জমে আছে।
এদিকে সামনেই বাঙালির সবচাইতে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। পুজোর দিনগুলিতে শহরে এর থেকে আরও ১০ গুণ আবর্জনা বাড়বে বলে এলাকার পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি আশঙ্কা করছে।
আলিপুরদুয়ারের একটি পরিবেশপ্রেমী ক্লাবের সম্পাদক অমল দত্ত বলেন, পুজোর দিনগুলিতে শহরে এর থেকেও ১০ গুণ আবর্জনা বাড়বে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন থেকেই জরুরি ভিত্তিতে পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির দাবি, মাঝেরডাবরি চা বাগানের জমিতে পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শহরকে রোগব্যধির হাত থেকে বাঁচাতে সেই কাজ পুরসভার যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে শেষ করা উচিত।