বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভারতীয় জনতা কিষাণ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অরুণ মণ্ডল বলেন, ময়নাগুড়ির অন্নদা রায় মহাজনী ঋণে জর্জরিত ছিলেন। তাঁর বিয়ের জন্য সম্বন্ধ এসে বারবার ভেস্তে যাওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস কৃষক আত্মহত্যার রং ঘোরাতে এনআরসি’র গল্প ফেঁদে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অন্নদার চার বিঘা জমি থাকলেও সেগুলির কোনও পাট্টা ছিল না। বাম আমল থেকে তৃণমূল আমলেও কেন তিনি পাট্টা পেলেন না সেবিষয়ে আমরা আন্দোলনে নামব। তৃণমূল কর্মী ও পুলিস দিয়ে অন্নদার বাড়ি ঘিরে রাখায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে বিজেপি’র প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে পারেনি। এদিকে ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী বলেন, অন্নদা রায়ের পরিবার রংপুর থেকে ১৯৮০ সালের পরে এদেশে আসে। সম্প্রতি অন্নদা লটারিতে সাত লক্ষ টাকা পেয়েছেন। ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি লোনও অনুমোদন হয়েছে তাঁর। এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণেই আত্মহত্যা করেছে। মানুষের মধ্যে এনআরসি নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিজেপি। তারই পরিণতি এই মৃত্যু।
অন্নদা রায়ের বাবা অমূল্য রায় বলেন, অসমের এনআরসি তালিকা প্রকাশের পরে ছেলে আতঙ্কে ছিল। দুইদিন থেকে খাওয়াদাওয়া ত্যাগ করে দেয় সে। এরপরেই এই অঘটন ঘটে গেল।
সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম এদিন জলপাইগুড়িতে বলেন, নরেন্দ্র মোদি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়েছেন। তার সার্টিফিকেট এখনও জমা দিতে পারেননি। দিলীপ ঘোষ কোন বিদ্যালয়ে পড়েছেন তার নাম বলতে পারেন না। আজ তারাই আমাদের বাপঠাকুরদার সার্টিফিকেট দেখতে চাইছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করতে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে বিজেপি। এজন্য বাংলাজুড়ে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। ময়নাগুড়ির ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্মল ঘোষদস্তিদার বলেন, এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কমাতে ময়নাগুড়িতে সভা করব। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় এনআরসি চালু করার চেষ্টা করলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা তা রুখব।