পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবারে ৪২ বছরে পড়বে বিহারমোড় দুর্গাপুজো কমিটির পুজো। ১৯৭৭ সাল থেকে অল্প বাজেট নিয়ে নামলেও কয়েক বছর ধরে তারা বিপুল বাজটে নিয়ে পুজো করে সফল হচ্ছে। বছর দু’য়েক আগে এশিয়ান হাইওয়-২’র জন্য রাস্তার ধারে পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে তাদের হোঁচট খেতে হয়েছিল। পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে সেবার পুজো মণ্ডপ ছোট করতে হয়। কিন্তু গতবছর থেকে বাগডোগরা রেলের মাঠে অনুমতি নিয়ে এরা পুজো করছে। এবার এদের থিম ‘এক টুকরো দার্জিলিং’। নকশালবাড়ির শিল্পীরা রেলের মাঠে দিনরাত পরিশ্রম করে দার্জিলিং পাহাড় তৈরি করছেন। এই অঞ্চলের কমবেশি সকলেরই যেহেতু দার্জিলিং ঘোরা তাই কেউ যাতে বিন্দুমাত্র ভুলত্রুটি ধরতে না পারে তার চেষ্টা শিল্পী করে চলেছেন। টয়ট্রেন, চা বাগান সহ শৈলশহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হচ্ছে এখানে। টানেলের মধ্যে দিয়ে মূল মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে। শিলিগুড়ির কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী প্রতিমার বরাত পেয়েছেন। আলোকসজ্জার জন্য কলকাতা কারিগররা আসছেন। বিশাল তোরণ বানানোর কাজ চলছে।
পুজো কমিটির সভাপতি রাসেল আহমেদ বলেন, দর্শনার্থীদের ভিড় টানতে এবার আমরা রেলের মাঠে শৈলশহর বানাচ্ছি। চতুর্থীতে পদ্মশ্রী করিমুল হক পুজোর উদ্বোধন করবেন। আমাদের এবার বাজেট ১১ লক্ষ টাকা।
বাগডোগরার বিবেকানন্দপল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এবারে ৫০ বছরে পড়ল। নবদ্বীপ থেকে আসা শিল্পীরা দক্ষিণ ভারতের রাজবাড়ির মন্দিরের আদলে মণ্ডপসজ্জা করছে। গোটা মণ্ডপটিতে বাঁশের কারুকাজ করা হবে। কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পী বাদল পাল ডাকের সাজে প্রতিমা বানাচ্ছেন। মণ্ডপের ভেতরের কাজ উজ্জ্বল করে তুলতে মাল্টি কলার লাইট ব্যবহার করা হবে।
পুজো কমিটির সভাপতি চন্দ্রবাহাদুর ছেত্রি বলেন, দর্শনার্থীদের ভিড় টানতে আমরা কোনওরকমের খামতি রাখব না। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় পদ্মশ্রী করিমুল হককে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করা হবে।