পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের জয়হাট গ্রামপঞ্চায়েতের হালিমপুরের বাসিন্দা সোলেমান সরকারের(৬০) এনআরসির আতঙ্কে মৃত্যু হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরে এনআরসির আতঙ্কে শুক্রবার ডিজিটাল রেশনকার্ড করাতে গিয়ে বালুরঘাট ব্লকের জলঘর এলাকার বাসিন্দা মন্টু সরকার(৫৫) সানস্ট্রোকে মারা গিয়েছেন।
গৌড়বঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক অপেক্ষাকৃত বেশি বেশি রয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের অনেকেরই আশঙ্কা করছেন এনআরসি চালু হলে তাঁরা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন না তো? গৌড়বঙ্গের তিন জেলার মানুষের মধ্যে এনআরসি চালু হওয়ার আশঙ্কায় পুরনো জমির দলিল, খতিয়ান, বাবাঠাকুরদার স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট সংগ্রহের বিষয়েও তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। যাদের পুরনো নথিপত্র নেই তাদের কপালেই মূলত চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছে। এনআরসি আতঙ্কে রেশন কার্ডের ভুলভ্রান্তি সংশোধনী ও ভোটার কার্ডের অনলাইন আপগ্রেডেশনের কাজকেও অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বাসিন্দারা। এনিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে।
ইটাহারের বিডিও আবুল আলম মাবুদ আনসার বলেন, রেশনকার্ড ও ভোটার কার্ডের কাজ রুটিন মাফিক চলছে। এরসঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীঘ্রই মাইকে প্রচার চালানো হবে। বালুরঘাটের বিজেপির সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, এখানে এনআরসি নিয়ে নানা রকমের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের হয়রানি হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের কোনও ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
সুজাপুরের বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী এনিয়ে নাগরিকদের সচেতন করতে এলাকায় একটি শিবির করতে চলেছেন। নিজের বিধানসভার নাগরিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনকেও। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম চিঠি পাঠিয়ে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্যের কাছে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পূর্ববর্তী ভোটার তালিকার কপি তাঁদের হাতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। মালদহের জেলাশাসক বলেন, কিছু গুজব রটছে। তবে রেশন কার্ডের সঙ্গে এনআরসি’র কোনও সম্পর্ক নেই। মানুষ যাতে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পূর্ববর্তী ভোটার তালিকার কপি পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।