শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
পুরাতন মালদহ ব্লকের সিডিপিও নীলাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, শিশুদের তিন ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। এতে বেশি করে পুষ্টি থাকে। সে মিশ্রণকে আমরা পুষ্টি পতাকা বলি। পতাকার তিনটি রং— গেরুয়া সাদা সবুজ রংয়ের নানা খাবার বেছে নিতে বলা হচ্ছে। পাকা ফলমূল, ডিমের কুসুম, ডাল এসব গেরুয়া রঙের হয়। আবার দুধ, চাল, গমের বিশেষ খাবার সাদা রংয়ের হয়। বিভিন্ন রকম শাকসব্জিতে সবুজের রঙের পাওয়া যায়। এধরনের খাবারকেই আমরা পুষ্টি পতাকা হিসেবে তুলে ধরছি। পাশাপাশি চাল, বিভিন্ন ডালের গুঁড়ো, মুড়ি, ছোলা দিয়ে সহজেই নিউট্রিমিক্স তৈরি করা যায়। এ ধরনের মিশ্রণ খাবারে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। এনিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারও করছি।
পুরাতন মালদহ ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঙ্গনওয়াড়ি এবং শিশু আলয়ের সুপারভাইজার সুস্মিতা সাহা বলেন, অনেকক্ষেত্রেই প্রসূতি মা ও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। সেই ঘাটতি মেটাতে শুধু খাবার খেলেই হবে না তাতে পুষ্টিগুণ থাকা প্রয়োজন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার কতটা, কী পরিমাণে খাবে তা আমরা বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং কর্মশালায় তুলে ধরি। পতাকা পুষ্টি এবং নিউট্রিমিক্সে জোর দেওয়া হচ্ছে। পুরাতন মালদহ ব্লকের বলাতুলি গ্রামের বাসিন্দা শবনম সুলতানা বলেন, পতাকা খাওয়ার এবং নিউট্রিমিক্সের কথা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসেই শুনেছি। দিদিমণিদের পদ্ধতি মেনে বাড়িতে খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করব।
অঙ্গনওয়াড়ি দপ্তর থেকে জাতীয় পতাকার রংয়ের আকারে যে খাদ্য তালিকা তৈরি করেছে তার মধ্যে রয়েছে, ডিমের কুসুম, বিভিন্ন রকম ডাল, মিষ্টি কুমড়ো, বিভিন্ন পাকা ফল দিয়ে গেরুয়া রঙের খাবার। ডিমের সাদা অংশ, দুধ, মুড়ি, সুজি, চাল এসব দিয়ে সাদা রংয়ের খাবার তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকারের সবুজ শাকসব্জিকে থরে থরে সাজিয়ে দিলে জাতীয় পতাকার রঙে চলে আসে। মায়েদের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার বোঝাতে এই পদ্ধতি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়া চাল, পাঁচমিশালি ডালের গুঁড়ো, মুগ ও বাদাম মিশ্রণ, যব ও ছোলা গুঁড়ো দিয়ে সহজেই কম খরচে বাড়িতে খাবার তৈরি করা যায়। এরই নাম দেওয়া হয়েছে নিউট্রিমিক্স। এতেও পুষ্টিগুণ প্রচুর। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জানান, অনেক ক্ষেত্রেই শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। সেই ঘাটতি মেটাতে অনেকেই দোকানে বেশি দাম দিয়ে খাবার কিনে থাকেন। তবে দোকানের চাইতে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার বাড়িতে যে তৈরি করা যায় সেটাই আমরা বোঝাচ্ছি। এটি জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে।