বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে গঙ্গারামপুর থানার কালীতলা এলাকায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে সাধনবাবু গাড়ি ধরার জন্য বাস স্ট্যান্ড যাচ্ছিলেন। সেই সময় পেছন থেকে একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গঙ্গারামপুর-কালীতলা এলাকায় স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা গাড়ি আটকে চাঁদা তুলছিল। ওই লরিটির চালক চাঁদা না দিয়ে পালাতে গিয়ে সাধনবাবুকে পিষে দেয়।
যদিও গঙ্গারামপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, লরিটির চাকা পাংচার হয়ে যাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীকে ধাক্কা মারে। পুলিসি বয়ান অনুযায়ী, এদিন ভোরে গঙ্গারামপুর কালীতলা এলাকায় বুনিয়াদপুরগামী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীকে ধাক্কা মারে । প্রত্যক্ষদর্শীরা আবার দাবি করেছেন, জাতীয় সড়কে চাঁদা তোলার জেরেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিস-প্রশাসনের তথ্যে বিস্তর ফারাক সামনে এসেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা কোন ক্লাব চাঁদা তুলছিল তা নির্দিষ্ট করে বলতে চাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা চণ্ডী রায় বলেন, আমাদের পাড়ার এক হকারের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। এদিন ভোরে পুনর্ভবা ব্রিজের সামনে স্থানীয় একটি ক্লাব জাতীয় সড়কে চাঁদা তুলছিল লরি আটকে। সেই সময় একটি লরি চাঁদা না দিয়ে দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। তখন সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পথচারীর। তারপর আমরা পাড়ার সকলে এসে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাই। সকালের দিকে জাতীয় সড়কে পুলিসের পেট্রোলিং না থাকার সুযোগ নিয়ে দুর্গাপুজোর চাঁদা তুলছে ক্লাবের সদস্যরা। পুলিসের স্পিড বেকার ব্যবহার করে চলে চাঁদা তোলার কাজ। রাস্তায় চাঁদা তোলা বন্ধ করতে পুলিস প্রশাসন অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক।
গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু বলেন, ভোরে চাঁদা তোলার কোনও বিষয় ছিল না। জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে দেখছি। আমাদের পেট্রোলিং ভ্যান সব সময় জাতীয় সড়কের উপর নজর রাখছে। ঘাতক লরির চালক ও খালাসী পলাতক। আমরা লরিটি থানায় নিয়ে এসেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
মৃতের স্ত্রী ইন্দু হালদার বলেন, আমি আমার স্বামীকে বাসে তুলে দেওয়ার জন্য পুনর্ভবা ব্রিজ পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পাই। আমার স্বামী বাসনের হকারি করার জন্য গাজোল যাচ্ছিলেন। শুনেছি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।
এদিন দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে। জাতীয় সড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদার তোলায় লরির ধাক্কায় ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেয়। যে ক্লাব চাঁদা তুলছিল তার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিস।