পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবার ইংলিশবাজার শহরের রথবাড়ি এলাকায় থানার তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের দপ্তর বাণিজ্য ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ওই বৈঠক। বৈঠকে মালদহের ডিএসপি (সদর) বিপুল মজুমদার, ইংলিশবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দমকল সহ জরুরী পরিষেবা সংক্রান্ত দপ্তরের আধিকারিকরাও যোগ দেন।
সামনেই দুর্গাপুজো। পুজোর দিনগুলিতে যাতে শব্দদূষণ না ঘটে সেজন্য সতর্ক রয়েছে জেলা পুলিস ও প্রশাসন। বৈঠক শেষে ইংলিশবাজার থানার আইসি শান্তনু মিত্র বলেন, রাত ১০টার পর কোনওভাবেই লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না। এক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। দিনেও নিয়ম মেনে সাউন্ডবক্সের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডিজে কোনও মতেই বাজানো চলবে না। কোনও জায়গা থেকে এধরণের অভিযোগ পেলে আমরা এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেব। ইংলিশবাজার শহর এবং আশপাশের এলাকায় মোট ১৭৮টি পুজো হয়। সেসব পুজোর উদ্যোক্তাদের ডেকে এদিন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইংলিশবাজারের বিডিও সৌগত চৌধুরী বলেন, পুজোর সময় মণ্ডপগুলির তরফে সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নাম, ঠিকানা সহ অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। তা নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রচারের ব্যাপারে আমরা উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করেছি। এর মাধ্যমে দর্শনার্থী তথা জেলাবাসীর কাছে সহজেই এব্যাপারে বার্তা পৌঁছনো সম্ভব হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার পুজো মণ্ডপগুলিতে যথেষ্ট সংখ্যক সেচ্ছ্বাসেবক নিয়োগ, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরির ব্যাপারে পুলিস ও প্রশাসনের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎবাহী তার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার ব্যাপারেও পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে। পুজোর দিনগুলির পাশাপাশি বিসর্জনের শোভাযাত্রাতেও যাতে মদ্যপদের দৌরাত্ম্য না বাড়ে, তা দেখার জন্যও উদ্যোক্তাদের বার্তা দেওয়া হয়েছে।