গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আট মাস আগে শিলিগুড়ি শহরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ডিডি’র অফিসাররা অধিকাংশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও পর্যন্ত তিন অভিযুক্ত অধরা। ডিডি ও শিলিগুড়ি এসিজেএম কোর্টের এপিপি বলেন, ডিডির আবেদনের ভিত্তিতে কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তকারী অফিসার তথা ডিডির অফিসার অভিজিৎ সাহা বলেন, আইন অনুসারে হুলিয়া জারি হওয়া অভিযুক্তদের সম্পত্তি ক্রোক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই ব্যাপারে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হবে।
কয়েকদিন আগে এই জালিয়াতির ঘটনায় বিহারের পাটনা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অফিসার। আদালতের নির্দেশে ধৃত এখন ডিডির হেফাজতে রয়েছে। এই অবস্থায় কয়েকদিন আগে ফেরার অভিযুক্তদের মধ্যে বিজয়কুমার শর্মা আদালতে আত্মসমর্পণ করে। শহরের মিলনপল্লি এলাকায় তার বাড়ি। সে পেশায় ব্যবসায়ী। এদিন তাকে ফের আদালতে তোলা হলে হেপাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় ডিডি।
শিলিগুড়ি এসিজেএম কোর্টের এপিপি বলেন, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় কিছু জাল নথি ব্যবহার করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা সেই সব নথির একাংশ উদ্ধার করেছে। সেই ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ডিডি। আদালত অভিযুক্তকে আট দিনের জন্য ডিডি’র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযুক্তের আইনজীবী কৌস্তুভ সিংহ অবশ্য দাবি করেন, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিজয়কুমার অসুস্থ। সেজন্য ডিডির আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে সওয়াল করি। ডিডি ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করলেও আদালত তা আট দিনের জন্য মঞ্জুর করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর ওই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরবর্তীতে ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে ডিডি। পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার ওই জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।