গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গঙ্গারামপুর ব্লক খাদ্যদপ্তরের অফিসে ডিজিটাল রেশন কার্ড করতে আসা উপভোক্তাদের অভিযোগ, ভোর থেকে লাইন দিতে হচ্ছে রেশন কার্ড করতে। এদিন প্রচন্ড গরম ছিল। সকাল থেকেই ছিল কড়া রোদ। সেই রোদের তাপ আটকাতে ছাউনির কোনও ব্যবস্থা করতে পারেনি প্রশাসন। পানীয় জল থেকে শুরু করে শৌচালয়ের ব্যবস্থাও নেই ওই অফিস চত্বরে। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার লোকের সমাগম হলেও প্রশাসন ন্যূনতম ব্যবস্থা করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
গঙ্গারামপুর থানার বিডিও অঙ্কিত আগরওয়াল বলেন, আমাদের ব্লকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা অনেকগুলি টেবিল বাড়িয়েছি। সময় না থাকার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় বেড়েছে। যাঁরা লাইনে থাকছেন, সকলের কাজ করা হচ্ছে। আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছি উপভোক্তাদের জন্য। শুনেছি একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছি।
উপভোক্তা মালেক চৌধুরী বলেন, আমার সঙ্গে এদিন ভোর চারটের সময় এসে লাইন দিয়েছিল আমার আত্মীয় মোজাম্মেল হক। লাইনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাটিতে পড়ে যায়। তখন ভিড়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের পায়ের চাপে ও আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও ওকে ভিড় থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। বাধ্য হয়ে খাদ্যদপ্তরের খোলা ছাদে মোজাম্মেলকে তুলে দিয়ে পুলিসকে জানিয়েছি। পুলিস এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রেশন কার্ড তৈরি করা নিয়ে গঙ্গারামপুর ব্লক চত্বরে চরম অব্যবস্থা চলছে।