বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন, ওই নাগরিকদের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই এই কাজ শেষ করা হবে।
এনআরসির জেরে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসেবে অসম সরকারের কাছে বিভিন্নরকম তথ্য দাখিল করছেন বাসিন্দারা। ওই বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই দার্জিলিং জেলার জমির দলিল, স্কুলের সার্টিফিকেট, উদ্বাস্তু কলোনির পাট্টা প্রভৃতি জমা করেছেন। সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রগুলি জেলার দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, মিরিক ও কার্শিয়াং মহকুমার বিভিন্ন সরকারি অফিস ও স্কুল থেকে বিলি করা হয়েছিল। অসম সরকার ওই সব নথির সত্যতা যাই করতেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য শিলিগুড়ি সহ জেলার প্রতিটি মহকুমায় একটি করে সেল খোলা হয়েছে। সেলগুলির দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। জেলাশাসকের অফিস থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট সেলগুলির কাছে নথিগুলি পাঠানো হচ্ছে। গত দেড় মাসে শিলিগুড়ি মহকুমায় সংশ্লিষ্ট সেলের কাছে প্রায় ৪০টির মতো নথি এসেছে। সেগুলির অধিকাংশই ৫০-৬০ বছরের পুরনো নথি। সেগুলির কোনওটি স্কুলের সার্টিফিকেট আবার কোনওটি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের জমির পর্চা, কোনওটি উদ্বাস্তু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রদান করা সার্টিফিকেট রয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় পরীক্ষার জন্য এমন নথি এসেছে প্রায় ২৫০০টি।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সংশ্লিষ্ট নথি খতিয়ে দেখার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। সেই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হয়ে অসম সরকারের কাছে যাবে। তবে দীর্ঘদিনের পুরনো ওসব নথি যাচাই করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন কারণে বহু নথি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছু খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। তা হলেও গুরুত্ব দিয়েই তথ্য যাচাইয়ের কাজ করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য অসমের সম্পর্ক অনেক দিনের। এখানকার বহু মানুষ কর্মসূত্রে ও আত্মীয়তার সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে অসমে বসবাস করছেন। এনআরসি লাগুর পর তাঁরা নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, এখানকার মাটিতে জন্ম অনেক মহিলার বিয়ে হয়েছে অসমে। ওই মহিলাদের পড়াশুনা এখানেই। কিন্তু এমন অনেক মহিলারই নাম অসমের এনআরসি থেকে বাদ পড়েছে। আবার এখানকার অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় কর্মসূত্রে অসমে আছেন। তাঁদেরও জন্ম ও পড়াশুনা এখানে হয়েছে। এনআরসির মারপ্যাঁচে তাঁরাও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।