গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এবিষয়ে চাঁচল মহকুমার এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ছেলেধরা গুজবে চারজনকে গ্রামবাসীরা আটকে রেখেছিল। গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। আটকে রাখার সময়ই কেউ কেউ তাদের ধাক্কাধাক্কি করেছিল। আমরা খবর পেয়ে চারজনকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস বলেন, বিহারের দিক থেকে আসা চার ব্যক্তিকে গ্রামবাসী আটকে রাখায় আমরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। গুজব থেকে এধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের মোস্তাক আলম বলেন, গণপিটুনি রোধে আমরা বিধানসভায় বিল পাশ করিয়েছি। তারপরও এধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। কোথাও ফাঁকফোকর থেকে যাচ্ছে। কেউ অপরাধ করলেও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে চার যাযাবর তুলসীহাট্টা গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় স্কুলের বাইরে শিশুরা খেলাধুলা করছিল। গ্রামবাসীদের কয়েকজন তাদের ছেলেধরা বলে সন্দেহ করে। তাদের গ্রামবাসীরা আটকে রাখে। পরে পুলিস এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা চড়াও হয় পুলিসের উপর। পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিসের গাড়ি থেকে ওই চারজনকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে ফের ওই চারজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটায় জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে মনে করছেন পুলিসের উপর আস্থা না থাকায় মানুষ কথায় কথায় আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। গুজবেও অনেক উত্তেজনা ছড়ায়। গণউন্মাদনা তৈরি হয়। বাচ্চা চুরির মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে গুজব ছড়ানোয় তা বাড়তি মাত্রা পেয়ে যাচ্ছে। যদিও এলাকায় শিশু নিখোঁজ থাকার কোনও খবর নেই। এনিয়ে থানায় কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি। পুলিস জানিয়েছে, তাদের উপর মানুষের আস্থা নেই এমনটা নয়। ঘটনার পিছনে কিছু মতলববাজের উসকানি থাকতে পারে। সেদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।