কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এবারের পুজোর বাজার জমে ওঠার আশায় মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের জন্য হরেক রকম জামা কাপড়ের কালেকশন নিয়ে নিয়ে বিক্রেতারা তৈরি থাকলেও পুজোর মুখে ক্রেতার ভিড় আশানুরূপ হচ্ছে না। ভিড় তুলনামূলক কম থাকায় জামা কাপড়ের দোকানদারদের মাথায় হাত পড়েছে। যদিও জেলার বস্ত্র বিক্রেতাদের দাবি, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির কারণেই ক্রেতার সংখ্যা কম হচ্ছে। বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে যাওয়ার ফলে এবার শেষ মুহূর্তে দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বস্ত্র বিক্রেতারা। দোকানদারদের সঙ্গে কথা রলে জানা গেল, বর্তমানে পুজোর বাজারের যা ‘ট্রেন্ড’ তাতে এবারে পুজোতে কম দামের পোশাকের চাহিদাই বেশি রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে জেলার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা তাই বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন ক্রেতাদের কেনাকাটায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, এবারে নতুন ধরণের পুজোর কালেকশন এসেছে পোশাকের দোকানে। অল্পবয়সী মেয়েদের জন্য এবারে পুজোর বিশেষ কালেকশনে থাকছে সারারা , পালাজো সেট, ক্রপটপ, গ্রাউন্ড জিন্স, কুর্তা, লেহেঙ্গা প্রভৃতি। এছাড়াও মহিলাদের জন্য থাকছে রাজশাহী সিল্ক, কাতান, পৈথান, ওপারা, রাজ্যের তাঁতিদের তৈরি হ্যান্ডলুম শাড়ি। এছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি এসেছে কালেকশন। ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, শর্ট কুর্তা, কুর্তা, শার্ট, প্রিন্টেড শার্ট ও টিশার্টের পশরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানালেন, জিন্সের পরিবর্তে এবারে কটনের প্যান্টের চাহিদা বেড়েছে। তবে দোকানে বিভিন্ন আইটেম রাখা হলেও জেলার বড় বড় পোশাক বিক্রেতাদের আশঙ্কা, ক্রেতাদের পুজোর বাজেট কম থাকায় এবারে পুজোর ব্যবসা অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই কম হবে।
গঙ্গারামপুরের বস্ত্র বিক্রেতা রাহুল আগরওয়াল বলেন, এবারে পুজোর বিক্রি এখনও তেমনভাবে শুরুই হয়নি। একে তো আর্থিক মন্দার কারণে ক্রেতাদের বাজেট অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার উপর জেলাজুড়ে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাবে দোকানে একদম বিক্রি কমে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এখনও পুজোর কেনাকাটা সেভাবে শুরু করেনি। বিশ্বকর্মা পুজো তো কেটে গেল। আশা করছি এখন থেকে পুজোর বিক্রি বাড়বে। এছাড়া অনলাইনে জামাকাপড় বিক্রি হওয়ায় আমাদেরও প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে গ্রাহকদের বিশেষ ছাড় দিতে হচ্ছে। তবে অনলাইনে বাজারের প্রভাবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের পোশাকের কেনাকাটাই অনেকটা কমেছে। দেশজুড়ে আর্থিক মন্দা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের বাজেট কমে যাওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। আশঙ্কা করছি, এবারে বিক্রি অনেকটাই কম হবে।
পুজোর বাজার করতে আসা এক ক্রেতা খোকন মণ্ডল বলেন, পরিবার নিয়ে বাজার করতে এসেছি। আগে আগে গেলে দোকানে ভিড় কম থাকে। কেনাকাটা করতে সুবিধা হয়। এবারে ভিড় অনেকটাই কম রয়েছে পোশাকের দোকানগুলিতে। পুজোর দিন কাছে আসলেই ভিড় বাড়তে থাকবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর শহর জুড়ে বড় বড় মলে পুজোর কেনাকাটার ভিড় তেমন চোখে পড়েনি। পুজো চলে এসেছে একদম কাছে। অথচ পোশাকের দোকানে বিক্রি তেমনভাবে শুরু না হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে কাপড় ব্যাবসায়ীদের। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে বিপুল পরিমাণ পোশাকের কালেকশন দোকানে মজুত রাখলেও ক্রেতা তুলনামূলক কম। তাই পুজোর মুখে ব্যবসা মার খাওয়ার আতঙ্কে আশঙ্কিত ব্যাবসায়ীরা।