পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুদর্শন নগর হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের ২২ টি স্টল করা হয়েছিল। সেই স্টলগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে প্রকল্পের সুবিধে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বংশীহারী ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল। অনুষ্ঠানে কৃষকবন্ধু চেক বিলি, জমির পাট্টা বিলি ও সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল বিলি করা হয় উপভোক্তাদের মধ্যে।
এদিন বংশীহারী ব্লকের সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষ জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এতদিন সেসব সমস্যার সমাধান না করতে পারায় জেলাশাসক ও জেলা প্রশাসনের কাছে এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসন অভিযোগ কারীদের নাম নথিভুক্ত করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বৃদ্ধ মতিউর রহমান বলেন, আমি রূপাহাটি গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লকে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেও তা পাইনি। আমার বয়স ৭৫ হয়ে গিয়েছে। আর বেশি দিন বাঁচব না। আমার বার্ধক্য ভাতা আর কবে পাব? এই প্রশ্নের উত্তর শেষবারের মতো জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে এসেছি। ৬৫ বছরের রাহেনা বানুও একই অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখেন।
স্বামীহারা গৃহবধূ ইসমতারা খাতুন বলেন, আমি অন্তসত্ত্বা থাকাকালীন স্বামীর মৃত্যু হয়। কোলের শিশুর বয়স এখন দেড় বছর। সাহায্যের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কিছু মেলেনি। কোলের শিশুকে নিয়ে আমি দিশাহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। ব্যক্তিগত সমস্যার পাশাপাশি উঠে আসে ব্লকের সামগ্রিক সমস্যাব কথাও। আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা সুজন সরকার বলেন, বংশীহারী ব্লক জুড়ে পানীয় জল ও রাস্তার চরম সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। আমরা চাই, জেলা প্রশাসন আমাদের পরিষেবা দিক।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে নিয়েছি। আমরা বিডিও’র সঙ্গে কথা বলে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব। এদিন বাংলার মা প্রকল্পে ইসমতারা খাতুনকে ৫ হাজার টাকা সাহায্য করা হয়েছে। এছাড়াও বার্ধক্য ভাতা যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁদের নামের তালিকা করে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আলোচনা করে সমস্যাগুলির সমাধান করব। অন্য ব্লকগুলিতেও ‘আপনার দুয়ারে প্রশাসন’ অনুষ্ঠান করে সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে।
বংশীহারী ব্লকের একাধিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এদিন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সামনে সরব হয়েছিলেন বার্ধক্য ভাতার দাবিতে। এছাড়াও বেহাল রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ভাতা নিয়ে সমস্যার কথাও এদিন উঠে এসেছে। এদিকে এদিন অনুষ্ঠান শেষে অনেকেই অভিযোগ করেন যে জেলা প্রশাসনের কাছে সমস্যা তুলে ধরার সুযোগ তাঁরা পাননি।