পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তাঁরা বলেন, দলের ব্লক সভাপতি গোলাম রসুল ওরফে মনি বলেছেন যে আমরা ব্লকের নেতৃত্ব মিটিং করে নাসিম সাহেবকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু আমরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানাতে চাই নাসিম সাহেবকে বহিষ্কারের বিষয়ে ব্লকে কোনও মিটিং হয়নি। দুই তিন মাস আগে একটি মিটিং হয়েছিল। ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় নাসিম সাহেবকে শো-কজ করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁকে শো-কজ করা হয়নি। ব্লক কমিটির বেশিরভাগ নেতাই সেসময় বহিষ্কারে মত দেননি। রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও ব্লক সভাপতি সমস্ত সভাতেই বলেন ব্লকে যেকোনও সিদ্ধান্ত সবাই মিলে নেব। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। তাঁরা দুই ভাই নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অন্যদের কিছুই বলছেন না। তৃণমূলের গোয়ালপোখর ব্লক সভাপতি গোলাম রসুল ওরফে মনি বলেন, সোমবারের মিটিংয়ে মন্ত্রী গোলাম রব্বানি এবিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন। ওই মিটিংয়ে সকলেই উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, কয়েক মাস আগেই দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তন হয়েছেন। ফলে সমস্ত কমিটিই ভেঙে গিয়েছে। কানাইয়ালাল আগরওয়াল জেলা সভাপতি হয়ে গোলাম রসুলকেই ফের ব্লক সভাপতি করেছেন। কিন্তু ব্লক সভাপতি এখনও বাকি কমিটি তৈরি করেননি। ফলে ব্লক সভাপতি বাদে কেউ দলের পদে নেই। ফলে যাঁরা বলছেন তাঁদের কোনও পদে নেই। লোকসভা নির্বাচনে নাসিম এহসান দলের হয়ে কাজ করেননি। অন্য দলের হয়ে কাজ করেছেন। ভোট শেষ হওয়ার পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির মিটিংয়ে তিনি ছিলেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। আমরা দলের জেলা সভাপতিকে বিষয়টি জানাই। আমি ও ব্লক সভাপতি জেলা সভাপতিকে প্রস্তাব পাঠাই। তারই ভিত্তিতে জেলা সভাপতি তাঁকে সাসপেন্ড করেন। আমরা সোমবার একটি সভা করি ওই সভায় দলের বিভিন্ন পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এবং সমস্ত নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমি ঘোষণা করি আমাদের প্রস্তাবে জেলা সভাপতি নাসিম সাহেবকে সাসপেন্ড করেছেন। আমরা জেলা সভাপতির এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।
ব্লক তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক কমিটির বহু নেতাই নাসিম সাহেবকে বহিষ্কারের বিরোধিতা করছেন। এর ফলে তাদের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এই জেলায় প্রতিটি ব্লকেই কম বেশি গোষ্ঠী কাজিয়া চলে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে তা প্রকাশ্যেও এসেছে। কিন্তু জেলার একমাত্র মন্ত্রী গোলাম রব্বানির নির্বাচিত এলাকা গোয়ালপোখরে গোষ্ঠী কাজিয়া প্রকাশ্যে আসতে পারেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, গোয়ালপোখরে বিধায়ক গোলাম রব্বানি মন্ত্রী ও তাঁর ভাই গোলাম রসুল ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, তাঁর ভাই বউ মুস্তরি বেগম গোয়ালপোখর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ফলে দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেন। এতদিন অন্যরা এর বিরোধিতা করার সাহস পাননি। কিন্তু নাসিম সাহেবকে বহিষ্কার ইস্যুতে এবার একাংশ নেতা-কর্মী সরাসরি বিরোধিতায় নেমেছেন।