বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, তাপস ও রাজেশের মৃত্যু দিন ২০ সেপ্টেম্বর আমরা মাতৃভাষা শহিদ দিবস হিসেবে পালন করছি। এজন্য প্রস্তুতি চলছে। দাড়িভিট স্কুল মাঠে কোনও কর্মসূচি হচ্ছে না। পাশেই একজনের জমিতে সমস্ত কর্মসূচি হবে। পুলিসের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিখিত অনুমতি পাইনি। আমরা রাজনীতি করছি না। নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি। এখনও আমরা সেই দাবিতে আন্দোলন করছি।
ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি শচীন মক্কর বলেন, বিজেপি আমাদের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু কোন মাঠে অনুষ্ঠান হবে তার এনওসি ছিল না। কোথায় গাছ লাগাবে তার উল্লেখ করা হয়নি, ম্যারাথন দৌড় কে করাচ্ছে তার উল্লেখ চিঠিতে ছিল না। ফলে অনুমতি দেওয়া হয়নি। উপযুক্ত নথি জমা করলে অনুমতি দেওয়া হবে।
কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলাম। নিহতদের পরিবার বিজেপি ওপর ভরসা করে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামে। কিন্তু বিজেপি শুধুই রাজনীতি করেছে। এখনও বিচার পায়নি নিহতদের পরিবার।
সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলার সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, আমরা ঘটনার সময় থেকেই বিচারবিভাগীয় তদন্ত হোক এটা চাইছি। বিজেপি নিহতদের পরিবারকে নিয়ে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা তুলেছে। ভাষা নিয়ে বিভেদের সৃষ্টি করেছে ওরা। ধর্মীয় বিভাজনও করেছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা আছে, আমরা ওদের পাশে আছি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর সকালে ইসলামপুর বাস টার্মিনাস থেকে দাড়িভিট পর্যন্ত ১৩ কিমি ম্যারাথন দৌড় হবে। এর নাম রান ফর জাস্টিস রাখা হয়েছে। এর পরে শ্মশানে বৃক্ষরোপণ, পরে বসেআঁকো প্রতিযোগিতা, নিহতদের স্মৃতির উদ্যেশ্যে ভজন কীর্তন, বিকেলে প্রতিবাদ সভা সহ দিনভর নানা কর্মসূচি রাখা হয়েছে। সেখানে রায়গঞ্জ এমপি বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন। ম্যারাথন দৌড়েও তিনি অংশ নেবেন।
স্থানীয়রা বলছেন, বিজেপির এই কর্মসূচি একবছর আগের স্মৃতি জাগিয়ে তুলবে। ওই কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে এলাকায় অশান্তি না হয় সেদিকে পুলিস প্রশাসন নজর রাখছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, দাড়িভিটকাণ্ডের রাশ শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বিজেপির হাতে আছে। তারাই ইস্যুটি রাজ্য ও জাতীয় স্তর পর্যন্ত নিয়ে যায়।