বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, পুজোর পরপরই সরকারি গৃহনির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদিত ২৪৩০ জন উপভোক্তার প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২০১৯-২০২০ সালের ওই প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি টাকার ডিপিআর পাঠানো হয়েছে। দ্রুত গরিব মানুষকে পাকা ঘরবাড়ির আওতায় আনা হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকায় বাড়ি পাবেন উপভোক্তারা। ২০১৯-২০২০ সালে পুর এলাকার ২৪৬৭টি পরিবারের জন্য পাকা বাড়ির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাড়ি ছাড়াও উপভোক্তাদের এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা পাকা করা সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। রায়গঞ্জ পুরসভায় ২০১৫-২০১৬ আর্থিক বছরে হাউজিং ফর অল প্রকল্পে পাকা বাড়ি দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ওই আর্থিক বছরে ১০৬৪ জন উপভোক্তাকে পাকা বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পুরসভার দাবি, এখনও পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে যদিও ওই প্রকল্পে কোনও বরাদ্দ আসেনি। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ৯০০ জন উপভোক্তাকে ওই প্রকল্পের বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সেই কাজ এখনও চলছে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ২৪৩০টি পাকা বাড়ির অনুমোদন মিলেছে। যদিও ওই প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৭ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা এসেছে। পুজোর পরপরই প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে দেবে পুরসভা। পুর এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা এখনও কাঁচা ঘরবাড়িতে বসবাস করেন। তাঁদের অনেকেই পাকা ঘরবাড়ির জন্য পুরসভার কাউন্সিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের চাহিদা মাথায় রেখে পুরসভা ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ২৪৬৭ জন উপভোক্তার ঘরবাড়ির আবেদন সহ একটি প্রস্তাব সম্প্রতি পুরদপ্তরে পাঠিয়েছে।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, সরকারি গৃহনির্মাণ প্রকল্পের ঘর বিলিতে তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান পুরবোর্ড দলবাজি করছে। প্রকৃত গরিব মানুষ সরকারি গৃহনির্মাণ প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাকা ঘরবাড়ি না পাওয়ায় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। অনেক উপভোক্তার নাম পুরসভার তালিকাভুক্ত থাকলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় অনেকেই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে সন্দিহান রয়েছেন। যদিও রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, আমরা পুরসভার দায়িত্বভার নেওয়ার পর কয়েক হাজার গরিব মানুষকে সরকারি গৃহনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আনতে পেরেছি। অধিকাংশ গরিব মানুষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষকে পৌঁছে দিতে রাজনৈতিক রং দেখার প্রশ্নই ওঠে না। প্রকৃত উপভোক্তারাই ঘরের সুবিধা পাবেন।